বিজয় দিবসের ভাষণেও ইউনূসের ভারত বিরোধিতা

ফাইল চিত্র

বাংলাদেশে ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপির সঙ্গে জামাতের জোর দ্বন্দ্ব। রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকার দেশে ভোট না করিয়ে শাসন ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে। সেই সব অভিযোগ নস্যাৎ করতে এবার ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবসকেই বেছে নিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার বাংলাদেশের নানা প্রান্তে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতির উদ্দেশে সকাল ১০টায় ভাষণ দেন ইউনূস। তাঁর এই বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে সম্প্রচার করা হয়। যাঁর হাত ধরে বিজয় দিবস এসেছিল বাংলাদেশে, সেই মুজিবুর রহমানের নাম একবারও ইউনূসকে নিতে দেখা গেলো না তাঁর মিনিট কুড়ির ভাষণে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সেনাবাহিনী এবং জনগণের অবদানের উল্লেখ নেই। উল্লেখ নেই চূড়ান্ত বিজয় হাসিল করার আগে ১৯৭১-এর ৬ ডিসেম্বর ভারত সরকারের বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও। বাংলাদেশের অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের মতো শেখ মুজিবুর, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, মহম্মদ মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান বা মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩৮৮৪ জন ভারতীয় সেনার স্মৃতির প্রতিশ্রদ্ধা যেমন জানাননি, ঠিক তেমনই যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ সেই পাকিস্তানের নাম নিতেও তাঁকে দেখা যায়নি। তবে এই ভাষণে যেটি সব থেকে উল্লেখ্য দিক ছিল তা হলো একদিকে যেমন তাঁকে বাংলাদেশের আসন্ন ভোটের সময় নির্ধারণ করতে দেখা গিয়েছে, তেমনই ভারত বিরোধিতার সুরও ধরা পড়েছে তাঁর ভাষণে। আবার এই প্রথম অন্তর্বর্তী প্রধান মুখ খুললেন হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে।

স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যেভাবে বিজয় দিবস পালিত হয়ে এসেছে তার ভিন্ন পথে হেঁটে এদিন বাংলাদেশের তদারকি সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস টিভি ভাষণে বলেন, ‘বিজয় দিবস কেবল আমাদের গর্বের উৎসব নয়, এটি আমাদের শপথের দিনও।
এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়