• facebook
  • twitter
Saturday, 29 March, 2025

মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পাল্টে রাজাকারদের নাম ঢোকাচ্ছেন ইউনূস

সংশোধনীতে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি আরও চার শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’হিসেবে সনদ বাতিল করা হচ্ছে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

রাজনৈতিক পালাবদলের পর বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে শুধু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বা তাঁর পরিবারকেই মুছে ফেলার চেষ্টা করেন অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় মুজিবরের সঙ্গে সম্পর্কিত সব কিছুর নামও পাল্টে ফেলা হয়েছে। এবার ইতিহাসের পাতায় লেখা দেশের মুক্তিযুদ্ধাদের নাম মুছে ফেলার চেষ্টায় অন্তর্বর্তী প্রধান শেখ ইউনূস ।

জানা গিয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ শয়ে শয়ে নেতার মুক্তিযুদ্ধের সনদ বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে ইউনূস সরকার। মুক্তিযোদ্ধা কারা, সেই সংজ্ঞাই বদলে ফেলা হচ্ছে। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাল্টে ফেলার চেষ্টায় উদ্যত বাংলাদেশে। সেই পথে হেঁটে আগেই মুজিব মুছতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হলের নাম রাখা হয়েছে ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে এক কুখ্যাত গণহত্যাকারী রাজাকারের নামে। ঢাকার রাস্তায় ঘুরতে দেখা যাচ্ছে হিজবুত তাহরিরের জঙ্গিদের। প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে আনসারুল্লা বাংলা টিমকে।

জানা গিয়েছে, বঙ্গবন্ধু, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ-সহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চারশোর উপর রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত খসড়ায় এসব নেতাদের পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এমএনএ (জাতীয় পরিষদের সদস্য) ও এমপিএ (প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য) হিসেবে নির্বাচিত এই নেতারা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭২ সালে গণপরিষদ গঠিত হলে তাঁদের সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়। তবে নতুন খসড়া আইনে তাঁদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি জানানো হয়েছে।

সংশোধনীতে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি আরও চার শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’হিসেবে সনদ বাতিল করা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা কেবল তাঁরাই থাকবেন, যাঁরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। রাজনীতিবিদরা সরাসরি যুদ্ধ করেননি, তাই তাঁদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করে নতুন পরিচয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে কোনও মর্যাদা কমানো হয়নি, বরং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আরও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।’

এছাড়া খসড়া আইনে নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘যাঁরা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন, তারাই বীর মুক্তিযোদ্ধা।’

News Hub