‘ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট’ বাতিল, হাসিনা জমানার সিদ্ধান্ত নাকচ ইউনূস সরকারের

ফাইল চিত্র।

হাসিনা জমানার কোনও সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের যে চক্ষুশূল তা আগেই জানা গেছিল। এবার কোপ পরলো ‘ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট’ এ। দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ইন্টারনেট সংযোগ শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ‘ব্যান্ডউইথ ট্রানজিটে’-র আবেদন করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে বিটিআরসি তথা ‘বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন’। দুই দেশের উত্তেজনার আবহে এই সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকার নিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

কাকে বলে ব্যান্ডউইথ? প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ তথ্য পাঠানো হয় তাকেই ব্যান্ডউইথ বলে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশের ‘সামিট কমিউনিকেশনস’ এবং ‘ফাইবার অ্যাট হোম’, ভারতীয় কোম্পানি ‘ভারতী এয়ারটেল লিমিটেড’-এর সঙ্গে আখাউড়া থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত ট্রানজিট সংযোগ স্থাপনের অনুমতি চেয়ে বিটিআরসিতে আবেদন করেছিল। তাতে প্রাথমিক সম্মতিও মিলেছিল। কিন্তু মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার আচমকাই সেই প্রস্তাবকে বাতিল করে দিল।

বিটিআরসির এক আধিকারিক সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় দাবি করেছেন, এই ব্যান্ডউইথ ট্রানজিটে ভারত লাভবান হবে। কিন্তু বাংলাদেশের তেমন কোনও লাভ হবে না। যেটুকু লাভ তা কেবল হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী বাংলাদেশের সামিট এবং ফাইবার অ্যাট হোমের হত। আর তাই সবদিক বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বাংলাদেশ।


আসল ঘটনা হচ্ছে, সামিট কমিউনিকেশনস’ এবং ‘ফাইবার অ্যাট হোম’ প্রাক্তন শাসকদল আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ। ‘সামিট কমিউনিকেশনস’-এর চেয়ারম্যান মহম্মদ ফরিদ খান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তথা গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে পাঁচ বার জাতীয় সংসদে নির্বাচিত ফারুক খানের ছোট ভাই। ফলে ইউনূস সরকার যে ‘ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট’ এ গ্রিন সিগন্যাল দেবে না, তা বলাই বাহুল্য।