নির্বাচন নিয়ে ঘরে-বাইরে বিরোধিতার সম্মুখীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ৫ মাস কেটে গেলেও প্রতিশ্রুতিমতো নির্বাচনের ঘোষণা না করায় সেনা থেকে শুরু করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেজা জিয়ার দল বিএনপি পর্যন্ত ক্ষমতা ধরে রাখার অভিযোগ তুলেছে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে। আন্দোলনের হুমকি পর্যন্ত দিয়ে ফেলে বিএনপি। পরে চাপে পড়ে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু সেখানেও নিশ্চিতভাবে কিছু না জানিয়ে কখনও ২০২৫, কখনও আবার ২০২৬-এ ভোট হওয়ার কথা শোনায় অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু এরপরই বেঁকে বসে বিএনপি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরাসরি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে এক দলীয় জনসভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি কর্মীদের আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামার ডাক দিয়ে ফেলেন। বর্তমান সরকারের কাছে ভোট এবং ভাতের অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামার হুমকিও দেন।
বিএনপির এই হুমকি যে ইউনূস সরকারের কাছে বেশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাই বোঝা গেলো প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলমের তড়িঘড়ি প্রেস বার্তার মাধ্যমে। প্রেস সচিব মঙ্গলবার জানালেন, ইউনুস সরকারের কাছে নির্বাচনের পরিবর্তে শেখ হাসিনার বিচার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এদিন জানালেন, ‘নির্বাচন নয়, মুজিবকন্যাকে ‘শাস্তি’ দেওয়াই আমাদের এখন প্রধান কাজ। শফিকুল আলমের এই দাবি নির্বাচন থেকে নজর ঘোরানোর পন্থা বলেই দাবি করছে রাজনৈতিক মহল।
মঙ্গলবার ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে শফিকুল আলম জানান, “শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আটটি প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে দুদক। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এটাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। হাসিনার এই দুর্নীতিতে কারা-কারা জড়িত তাও বাংলাদেশের মানুষ জানতে চান। এটা জানানো সরকারের একটা নৈতিক দায়িত্ব। উনি কী পরিমাণ চুরি করেছেন, সেটা অবশ্যই জানানো হবে। সরকারও এটার তদন্ত করছে।”