ইরানে নিহত হয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ। এবার সেই ‘অভিভাবকহীন’ হামাসের প্রধানের পদে বসলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার । ৭ অক্টোবরের মূলচক্রী ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে নেতা হিসাবে বেছে নিয়েছে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠনটি।
হানিয়েহ হত্যা নিয়ে ইতিমধ্যে সম্মুখ সমরে ইরান-ইজরায়েল ! ইরানের অভিযোগ এই হত্যাকাণ্ডে হাত রয়েছে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের। যেকোনও মুহূর্তে ইহুদি দেশটিতে ভয়ংকর আঘাত হানতে পারে তেহরান। অন্যদিক থেকে ইজরায়েলে হামলা চালাচ্ছে লেবাননের হেজবোল্লা। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া ।
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইজরায়েল সেনার টার্গেটে রয়েছে হামাসের শীর্ষনেতারা। নিশানায় ছিল হানিয়েহও। কিন্তু তাঁকে হত্যার দায় অস্বীকার করেছে ইজরায়েল। এদিকে ইজরায়েলের বুকে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হামাসও । কিন্তু হানিয়েহ-র উত্তরসূরি কে হবে তা নিয়ে নানা জল্পনা ছিল। অবশেষ বুধবার নতুন প্রধান হিসাবে সিনওয়ারের নাম ঘোষণা করে হামাস। হানিয়েহ-র পর তিনিই সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা।
তবে হামাস প্রধান ঘোষিত হওয়ার আগে থেকেই ইজরায়েলের নজর রয়েছে সিনওয়ারের ওপরে। কারণ গত ৭ অক্টোবরের হামলার মূলচক্রী তিনিই। এমনটাই দাবি তেল আভিভের। হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই গাজায় আত্মগোপন করে ছিলেন সিনওয়ার। গত ডিসেম্বর মাসে তাঁর গোপন ডেরায় হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলি ফৌজ। রয়টার্স সূত্রে খবর, সিনওয়ারের জন্ম গাজার খান ইউনিয়ের একটি শরণার্থী শিবিরে। ২০১৭ সালে গাজাতেই তাঁকে হামাসের নেতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর আগে দীর্ঘ ২৩ বছর ইজরায়েলের একটি জেলে বন্দি ছিলেন সিনওয়ার। এবার নতুন কী রণনীতি নেন হামাস নেতা সেদিকেই নজর আন্তর্জাতিক মহলের।