মহামারীর বছরেও কয়েক হাজার কোটি টাকার অস্ত্রশস্ত্র কিনেছে ভারত। যার বেশির ভাগটাই আবার আমেরিক থেকে। সম্প্রতি আমেরিকায় ডিফেন্স সিকিওরিটি কোঅপারেটিভ এজেন্সির তথ্য থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
মজার বিষয় হল চলতি বছরে অন্যান্য দেশ আমেরিল থেকে অস্ত্র আমদানি উল্লেখযােগ্য হারে কমিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের সন্ত্রাস নিয়ে উত্মা প্রকাশ করলেও ইসলামাবাদকেই বিপুল অস্ত্র বিক্রি করেছে আমেরিকা। এই ঘটনাকে ট্রাম্প সরকারের দ্বিচারিতা বলেও ব্যাখ্যা করেছেন কেউ কেউ।
মার্কিন সামরিক নিরাপত্তা সংস্থার তথ্য বলছে- ২০২০ সালে আমেরিল থেকে ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্রশস্ত্র কিনেছে ভারত। ভারতীয় অঙ্কে যার মূল্য ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ২০১৯ সালে অঙ্কটা ছিল ৬.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ৪৫ কোটির কিছু বেশি। এক ধাক্কায় আমেরিকা থেকে অস্ত্র আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এটাই ছিল প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালের শেষ বছর। পাশাপাশি এই সময়কলে মহামারির ঠেলায় ভারতীয় অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে। সরকারে তহবিলেও টান পড়েছে। এমন আবহে বিপুল অস্ত্র কেনা নিয়ে সমালােচনা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্যযােগ্যভাবে এই বছর অস্ত্রের খরিদার কমিয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশ। মার্কিন সামরিক নিরাপত্তা সংস্থার হিসাব বলছে, ২০১৯ সালে বিভিন্ন দেশ ৫৫.৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র কিনেছিল আমেরিকা থেকে। চলতি বছরে সে হিসাবটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০.৮ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতা অভিযােগ উঠেছে। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের সম্পর্কে কঠোর মনােভব পােষণ করেছে। সামরিক সাহায্য বন্ধের হুমকিও দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। মার্কিন নিরাপত্তা কাউন্সিলের তথ্য বলছে, চলতি বছরে ট্রাম্পের দেশ থেকে পাকিস্তান ১৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্রশস্ত্র কিনেছে।