রুশ আগ্রাসনের বিধ্বস্ত ইউক্রেন। তার পরেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ করেনি ন্যাটো। সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়নি আমেরিকাও। এবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রস্তাব দেওয়া মাত্র জেলেনস্কির সপাট জবাব, আমার আশ্রয় চাই না, অস্ত্র চাই। অস্ত্র পাঠান। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ তৃতীয় দিনে পা দিয়েছে। রাশিয়ার চেয়ে আয়তনে অনেকটাই ছোট হয়েও পুতিন বাহিনীকে রীতিমতো নাকানিচোবানি খাওয়াচ্ছে ইউক্রেনের সেনা।
এমন পরিস্থিতিতে মিত্র শক্তিদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একাধিক রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন তিনি। শনিবার রাতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা কথা বলেন জেলেনস্কি।
হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, জেলেনস্কিকে নিরাপদে দেশ থেকে বের করে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সপাটে জবাব দেন, যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমার আশ্রয় প্রয়োজন নেই। অস্ত্র পাঠান।
সূত্রের খবর, আমেরিকার তরফে প্রায় সাড়ে তিনশো মিলিয়ন মার্কিন লোরের সামরিক সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। এদিন জেলেনস্কির সঙ্গে কথা হয় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গেও। জেলেনস্কির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ম্যাক্রোঁর কথায়, ইউরোপে যুদ্ধের দিন ফিরে এসেছে। আর সেটা হয়েছে একমাত্র রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একতরফা সিদ্ধান্তের জন্য। এদিন জেলেনস্কিও জানিয়েছেন, পশ্চিমের বন্ধু দেশগুলি আমাদের অস্ত্র পাঠাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কিয়েভের রাস্তায় জোরদার লড়াই চলছে। তর্জন গর্জনের পরও তিনদিনে ইউক্রেন দখল করতে পারেনি রাশিয়া। উলটে তাদের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আত্মসমর্পনের হুমকি দিয়েও লাভ হয়নি।
বিনা যুদ্ধে জমি না দেওয়ার মনোভাবে অটল ইউক্রেন। পশ্চিমী দুনিয়ার অস্ত্র সাহায্য পেলে সেই যুদ্ধ যে আরও শক্তিশালী হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।