রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। মোদী মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেন, ‘আমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যে সংঘাত চলছে , সেই বিষয়ে ক্রমাগত যোগাযোগ করেছি। আমি আগেই বলেছি, আমরা বিশ্বাস করি যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে পূর্ণ সমর্থন করি। আমাদের সকল প্রচেষ্টা মানবতাকে প্রাধান্য দেয়। ভারত ভবিষ্যতে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।’
মোদী আরও বলেন, ‘গত তিন মাসে আমার দুটি রাশিয়া সফরে আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। জুলাই মাসে মস্কোতে আমাদের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতাকে শক্তিশালী করেছে।’
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত প্রথম থেকেই কোনও পক্ষ অবলম্বন না করলেও শান্তি স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়ে এসেছে। কিন্তু যখনই রাষ্ট্রসঙ্ঘে রাশিয়া বিরোধী কোনও প্রস্তাব এসেছে, ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত। এদিন ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজান-এ পৌঁছন’ মোদী। সেখানে তাঁর বৈঠক হয় রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, গত জুলাইয়ে আমাদের সাক্ষাতের সময় অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বেশ কয়েকবার ফোনেও কথা হয়েছে। কাজানে আসার আমন্ত্রণ গ্রহণ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। এখানে আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছি’- জানান পুতিন। এদিন পুতিনের সঙ্গে দেখা হওয়ার [পর মোদী তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরেন । পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় মোদী বলেন, ‘আমি আপনার বন্ধুত্ব, উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং আতিথেয়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। ব্রিকস সম্মেলনের জন্য কাজানের মতো একটি সুন্দর শহর দেখার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য খুবই আনন্দের বিষয়। এই শহরের সঙ্গে ভারতের গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। কাজানে ভারতের নতুন দূতাবাস খোলার ফলে এই সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।’
ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুদিনের সফরে রাশিয়ার কাজানে পৌঁছেছেন মঙ্গলবার । ভারত ছাড়াও ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছে । নতুন সদস্যদের মধ্যে রয়েছে মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান ও সংযুক্ত আরব এমিরেটস ।