ফার্স্ট লেডি-সহ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু মালওয়ির ভাইস প্রেসিডেন্টের প্রাণ হারালেন বিমানের বাকি ৮ জন যাত্রীও 

এমজুজু, ১১ জুন – ফের বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক রাষ্ট্রনেতা। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালওয়ির ভাইস প্রেসিডেন্ট সলস চিলিমার মৃত্যু হল কপ্টার দুর্ঘটনায়। সেই  দেশের প্রেসিডেন্ট লাজারুস চাকওয়েরা জানিয়েছেন, চিলিমা যে বিমানে সওয়ার হয়েছিলেন, তা জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। বিমানের কেউই আর বেঁচে নেই। লাজারুস জানান, ভেঙে পড়া বিমানটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।বিমানে মোট ১০ জন ছিলেন। উল্লেখ্য, সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন চিলিমা। 
 
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় মালওয়ির রাজধানী লিলঙ্গে থেকে এমজুজুর উদ্দেশে রওনা হন সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট। চিলিমা ছাড়াও ওই বিমানে ছিলেন মালওয়ির প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি শানিল ডিজিমবিরি। দুর্ঘটনায় সকলেরই মৃত্যু হয়। রাজধানী থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে দেশের এক প্রাক্তন মন্ত্রীর শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন সকলে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে গন্তব্যে বিমানটি নামতে পারেনি, তাই বিমানটিকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু যাত্রার মাঝপথে আচমকাই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বিমানটি খারাপ আবহাওয়ার কারণে এমজ়ুজু শহরে অবতরণ করতে পারেনি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানটিকে ফিরে যাওয়ার বার্তা পাঠান। কিন্তু তার পর হঠাৎই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার পরই বিমানটির খোঁজ শুরু হয়।

দক্ষিণ এমজুজু শহরে এক জঙ্গলে বিমানটি ভেঙে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়। তল্লাশি অভিযান চালাতে লাজ়ারুস সরকারের তরফে অন্যান্য দেশের সাহায্য চাওয়া হয়। এ ব্যাপারে সে দেশের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, আমেরিকা, ব্রিটেন, নরওয়ে এবং ইজ়রায়েলের মতো দেশগুলি বিপদে সাহায্যের আশ্বাস দেয়। যৌথ অভিযান চালিয়ে জঙ্গলের মধ্যে থেকে ভাঙা বিমানের অংশ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল।

সম্প্রতি ইরানের আজ়ারবাইজান সীমান্ত লাগোয়া পার্বত্য অঞ্চলে চপার ভেঙে মৃত্যু হয় সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির। মারা যান চপারে রইসির সহযাত্রী তথা সে দেশের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। সেই ঘটনাও  ঘটে খারাপ আবহাওয়া এবং দৃশ্যমানতা কম থাকায় । মালওয়ির ভাইস প্রেসিডেন্টের মৃত্যুও ঘটল একই ভাবে।