আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স আবার নতুন করে রাষ্ট্রসসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউ এন এস সি)-র কাছে প্রস্তাব রাখে পাকিস্তান মদতপ্রাপ্ত জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মুহাম্মদের নেতা মাসউদ আজহারকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে, যার ফলে তার বিশ্বব্যাপী কোন দেশে যাওয়া বন্ধ, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ও অস্ত্র বহনে নিশেধাজ্ঞা।
এই প্রস্তাব বুধবার পেশ করে তিন স্থায়ী ভেটো অধিকারী সদস্য। রাষ্ট্রসসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউ এন এস সি)-র কাছে দশ দিন সময় আছে এই নতুন প্রস্তাবটি বিবেচনা করার।
বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলে কোন দেশে তার প্রবেশের অধিকার থাকবে না, কোন দেশ তাকে সরাসরি বা পরক্ষে কোন রকম অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে পারবে না, পৃথিবীর সকল দেশে তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
ভারত ২০০৯ সালে প্রথম প্রস্তাব পেশ করে আজহারকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে। ২০১৬ সালে পাঠানকোটের বিমানঘাঁটিতে হামলার পর ভারত ফের প্রস্তাব রাখে রাষ্ট্রসসংঘের সামনে। ২০১৭ সালে একই প্রস্তাব পেশ করে আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। প্রতিবারই চীন, যে কি না স্থায়ী ভেটো অধিকারী সদস্য এই প্রস্তাব গ্রহনে বাধা সৃষ্টি করেছে। এবার দেখার বিষয় এটাই চীন এবার কোন পক্ষে ভোট দেয়।
চীন, পাকিস্তানের সবচেয়ে মিত্র-রাষ্ট্র প্রথম থেকেই ভারতের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এসেছে এবং পরে আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের নেওয়া পদক্ষেপেও বাধা সৃষ্টি করেছে আজহারকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদী হিসাবে চিহ্নিত করতে।
মার্চ মাসে ফ্রান্স রাষ্ট্রসসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউ এন এস সি)-র সভাপতিত্ত গ্রহন করবে। ফ্রান্সের সভাপতিত্ত গ্রহনের দু-দিন আগেই এই প্রস্তাব রাখা হয়।
রাষ্ট্রসসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউ এন এস সি)-র প্রেস বিবৃতিতে পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার কঠোর নিন্দা করেছে ও আশ্বাস দিয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তারা ভারতের সঙ্গে আছে।
পুলওয়ামাতে জঙ্গি-হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার জবাব দিতে ভারত লাইন অফ কন্ট্রোলের ৮০কি.মি. পেরিয়ে পাকিস্তানের বালাকোট অঞ্চলে জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রশিক্ষণ শিবিরে বিমান হামলা চালায়।
একুশ মিনিটের এই হামলায় বারোটি মিরাজ ২০০০ জেট ব্যাবহার করা হয়। ভারতীয় বায়ুসেনা ভোর ৩:৩০-টে নাগাদ এই হামলা চালিয়ে ১০০০ কেজি বোম জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রশিক্ষণ শিবিরে ফেলে ৩০০-র বেশি সন্ত্রাসবাদীর নাশ করতে পেরেছে।
বালাকোটের এই জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নেতা ছিল মাসউদ আজহারের শালা ইউসুফ আজহার।