আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শনিবার দুপুরে দোহায় আমেরিকা এবং তালিবান গােষ্ঠীর মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ঐতিহাসিক চুক্তি। এই চুক্তির ফলে তালিবান গােষ্ঠীর সঙ্গে কাবুল সরকারের আলােচনা সুনিশ্চিত করা হল যাতে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে চলতে থাকা যুদ্ধের অবসান হয় আফগানিস্তানে বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার দোহায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং তালিবান নেতাদের উপস্থিতিতে এই চুক্তি সাক্ষর হয়। চুক্তি মােতাকে, আগামী ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে পর্যায়ক্রমে সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আর কোনও হিংসামুলক কার্যকলাপ চালাবে না তালিবান। এছাড়াও তলিবান গােষ্ঠীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আল কায়দাকে সক্রিয় হওয়ার কোনও সুযােগ দেওয়া যাবে না, এমনটাই উল্লেখ রয়েছে এই চুক্তিতে।
কিন্তু এই চুক্তি প্রসঙ্গে আফগানিস্থান প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। চুক্তি প্রসঙ্গে মাইক পম্পেও জানান, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে চলতে থাকা যুদ্ধের অবসান ঘটানাের জন্য এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে তালিবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, চুক্তির সমস্ত শর্ত মানবে বলে দু’পক্ষই আশাবাদী। মার্কিন প্রশাসন এদিন পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে যে যদি তালিবান কোনও ভাবে চুক্তির কোনও শর্ত ভঙ্গ করে তাহলে আমেরিকা ফের আফগানিস্তানে সেনা পাঠাতে বিন্দুমাত্র দেরি করবে না। চুক্তির মূল শর্তই হল তালিবান কোনও ভাবে আল কায়দা জঙ্গি গােষ্ঠীর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখবে না।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় সন্ত্রাসী হামলার পর মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে তালিবান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তারপর বিগত ১৮ বছরে ২৪০০ মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে নিহত হয়েছে এবং ১০ হাজার আফগান সেনা, তালিবান জঙ্গি এবং আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিক মারা গেছেন।
এই চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এর ফলে আফগানিস্তানে এক নতুন সুর্যের উদয় হবে। আশা করা যায় যে এই এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।