ইউক্রেনে রুশ হামলার নিন্দায় মুখর পশ্চিমী দুনিয়া ইতিমধ্যে রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবুও কোনও হেলদোল নেই পুতিনের। কিভ সহ একাধিক শহর দখল করে পুতিন বাহুবল প্রদর্শন করেছে।
আমেরিকার তরফে কোনও দেশের নাম উল্লেখ না করে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলার নিন্দা যারা করবে না, তাঁদেরকে মস্কোর সঙ্গে যুক্ত দেশ হিসেবেই গণ্য করবে ওয়াশিংটন’।
কেননা, চিন ও ভারত দুই প্রতিবেশি দেশই ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলার সরাসরি কঠোর নিন্দা করতে অস্বীকার করেছেন।
এমনকি, নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের পক্ষে ভোটদান করা থেকেও বিরত থেকেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভলাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারত ও চিনের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক ইতিমধ্যে প্রশ্নের মুখে দাড়িয়ে পড়েছে।
কোনও দেশই সরাসরি মস্কোর বিরোধিতা করেনি। বাইডেনের মন্তব্যের পর দুই দেশ রীতিমতো চাপের মুখে পড়েছে।
বিষয়টা হল, ভারত ও চিনকে সরাসরি ইউক্রেনে রুশ হামলার বিরুদ্ধে সরব হতে হবে, নইলে রাশিয়ার বেআইনি হামলার সহযোগীর তকমা নিয়ে থাকতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে ভারত উভয় সঙ্কটে পড়েছে। ভারত জানে ইউক্রেনে রুশ হামলা ঠিক নয়, কিন্তু সেটা জোর গলায় বলা সম্ভব নয়।
আর এটা বলা সম্ভব নয়, ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে। রাশিয়ার তৈরি অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের অন্যতম বড় ক্রেতা ভারত।
পাশাপাশি ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে শর্তহীন বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। ফলে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমী দুনিয়া নিষেধাজ্ঞা চাপালেও ভারত রুশ নিন্দায় মুখর হবে না।