• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

নোতরদামের পাশে ইউনেস্কো

রসলার বলেন যে ইউনেস্কোর একটি বিশেষজ্ঞের দল গির্জার পাথরের কাজের স্থায়িত্ব পরখ করে দেখবেন।একই সঙ্গে জানলার কাঁচের পরিস্থিতিও খুঁটিয়ে দেখবেন তাঁরা।

নোতরদাম গির্জা(ছবি-Xinhua/Gao Jing/IANS)

প্যারিসের বিখ্যাত নোতরদাম গির্জার মধ্যযুগীয় ছাদের দুই-তৃতীয়াংশই আগুনে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তবে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের ডিরেক্টর রসলার জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘের সংস্কৃতি বিশারদরা গির্জা সংস্কারের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।

মঙ্গলবার রস্লার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন যে গির্জাটি একটি আন্তর্জাতিক প্রতীক এবং ফ্রান্সের প্রাণকেন্দ্র এবং এই দুর্ঘটনা সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের মনে ধাক্কা দিয়েছে।

গির্জার বাইরে জড়ো হওয়া মানুষদের প্রার্থনার দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন রসলার।অসংখ্য মানুষকে তিনি দেখেন মেট্রো থেকে নেমে হেঁটে যাচ্ছেন নোতরদামের দিকে, তাঁর মতে এই ঐতিহ্যটি কেবল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নয়, সকল মানুষের।এই গির্জাটি ফ্রান্সের মানুষের আত্মপরিচয়ের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে।

রসলার বলেন যে ইউনেস্কোর একটি বিশেষজ্ঞের দল গির্জার পাথরের কাজের স্থায়িত্ব পরখ করে দেখবেন।একই সঙ্গে জানলার কাঁচের পরিস্থিতিও খুঁটিয়ে দেখবেন তাঁরা।

১৯১১সালে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ লিস্টের অন্তর্গত হয়েছে নোতরদাম গির্জা।এই গির্জা ঐতিহাসিক,স্থাপত্যশিল্প এবং ধর্মের দিক থেকে ঐতিহ্যপূর্ণ।একইসাথে সাহিত্যের দিক থেকেও এর মূল্য প্রচুর।ইউনেস্কো সচীব বলেন যে গির্জাটি আমাদের সম্মিলিত মননের এক যোগসূত্র যার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে এই দুর্ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন কোণের মানুষের ভেঙ্গে পড়ায়।সাড়া পৃথিবী থেকে অসংখ্য মানুষ তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস জানিয়েছেন।

১১৬০ সালে তৈরির কাজ শুরু হওয়ার পর প্রায় একশতক ধরে তৈরি হয়েছে এই গির্জা।এই গির্জাটি ফ্রান্সের গথিক কায়দায় তৈরি এক অনন্য স্থাপত্যের নিদর্শন।