মঙ্গলবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুয়েত্রেসের মুখপাত্র ফারহান হককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতের নাগরিকত্ব (সংশােধনী) আইন নিয়ে আপনাদের কিছু বলার আছে কি? তিনি জবাবে বলেন আমরা চাই, ভারতের যে আইন সংশােধন হতে চলেছে, তাতে যেন কারও প্রতি বৈষম্য করা হয়।
তাঁর কথায়, আমি যতদূর জানি, বিলটি সংসদীয় প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাবে। কোনও দেশের আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে পারি না। এরপরে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত হতে চাই, ভারতে যে বিলটি পাশ হচ্ছে, তাতে কারও প্রতি যেন বৈষম্য করা না হয়।
প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব বিলে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ যদি ধর্মীয় নিপীড়ণের ভয়ে পালিয়ে আসেন, তবে তাদের ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবধি যারা এদেশে এসেছেন, তাঁরাই নাগরিকত্ব পাওয়ার যােগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
সােমবার বেশ কয়েক ঘণ্টা বিতর্কের পর লােকসভায় পাশ হয়েছে বিতর্কিত এই বিলটি। নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে উত্তরপূর্ব ভারত। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ডাকে মঙ্গলবার অসমে পালিত হয়েছে ১১ ঘন্টার বন্ধ।