• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

রুশ কাঁপিয়ে ৩৮ তলায় ধাক্কা মারল ইউক্রেনের ড্রোন

পাল্টা কিয়েভের নানা প্রান্তে অত্যাধুনিক রাশিয়ান বোমারু বিমানের হানা

এ যেন ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের জোড়া টাওয়ারে বিমান হামলারই স্মৃতি। গত দু’বছরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দু’দেশেই মুহুর্মুহু হামলা চলছে।  এ বার রাশিয়ার সারাটোভের একটি বহুতলে ড্রোন হামলা চালাল ইউক্রেন। যদিও ক্ষতির দিক থেকে ঠিক ততটা আঘাত আনতে  পারেনি ইউক্রেনের ড্রোন।  কিন্তু ধরণটা প্রায় একরকমই ।

সূত্রে খবর, সোমবার রাশিয়ায় ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেনীয় ফৌজ। সেদেশের একটি বহুতলে আঘাত হানে ইউক্রেনের ড্রোন। মহিলা-সহ বেশ কয়েকজন আহত হন এই হামলায়। রাশিয়ার সারাটোভের সেই বহুতলে ড্রোন হামলার দৃশ্য কিছু ক্ষণের মধ্যেই সংবাদমাধ্যম মারফত ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। আর তাতে দেখা যাচ্ছে হামলার মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল বহুতলের একাংশ। একই সময় খানিক দূরে আকাশে উড়ছে আরও একাধিক ড্রোন। তবে এই হামলার পাল্টা দিতে সময় নেয়নি রাশিয়াও। এর পরই এদিন পালটা কিয়েভে হামলা চালায় রুশ ফৌজ।

এর পরই এদিন পালটা কিয়েভে হামলা চালায় রুশ ফৌজ। ইউক্রেনের সেনা জানিয়েছে, ড্রোনের পাশাপাশি ১১ টিইউ-৯৫ নামের অত্যাধুনিক বোমারু বিমান দিয়েও হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়াও কিয়েভের নানা প্রান্তে ধেয়ে আসে একের পর এক মিসাইল। প্রসঙ্গত, ২৪ আগস্ট, শনিবার ছিল ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস। সেদিনও দেশটির বুকে আক্রমণ শানায় রাশিয়া।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার সকালে রাশিয়ার সারাটোভের যে ৩৮ তলা এক ইমারতে হামলা করেছে ইউক্রেনের ওই ড্রোন তার নাম ‘ভোল্‌গা স্কাই’। শহরের সবচেয়ে উঁচু বহুতল সেটি। ড্রোন হামলায় এখনও নিশ্চিত ভাবে কোনও হতাহতের খবর জানা যায়নি। তবে কোনও কোনও সূত্র বলছে ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দু’জন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অবশ্য দাবি করেছে, চিন্তার কারণ নেই। সে দেশের সরকারি সূত্র বলছে, সোমবারই সারাটোভের আকাশে উড়তে থাকা ইউক্রেনের অন্তত ন’টি ড্রোনকে নিকেশ করেছে তারা। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র ৯০০ কিলোমিটার দুরের শহর সারাটোভ। এর পরেই ওই অঞ্চলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাত্রিবাহী বিমান পরিষেবা।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের জোড়া টাওয়ারে বিমান হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দা। এই হামলার অন্যতম মূল চক্রী ছিলেন আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের বিশ্বস্ত সঙ্গী খালিদ শেখ মহম্মদ। মৃত্যু হয় কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের। একই ধাঁচে এ বার হামলা হল রাশিয়ার বহুতলে।