ফের মসনদে বসেই অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া আইন এনেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেই আইনেই এবার আরও কড়াকড়ি। গ্রিন কার্ড থাকলেও ২৪ ঘণ্টা সঙ্গে রাখতে হবে অভিবাসনের প্রমাণ। যে কোনও সময় সেই প্রমাণপত্র, নথি দেখতে চাইতে পারে প্রশাসন। ট্রাম্পের নয়া নিয়মে অস্বস্তিতে ভারতীয় অভিবাসীরা।
যারা বৈধ স্টুডেন্ট বা ওয়ার্ক ভিসায় আমেরিকায় রয়েছেন বা যাদের গ্রিন কার্ড রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। মোটকথা, মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা না হলেই, বৈধ নথিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ১৮ ঊর্ধ্ব সমস্ত অ-মার্কিনিদের ২৪ ঘণ্টা বৈধ নথি সঙ্গে রাখতে হবে। প্রশাসন চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা দেখাতে না পারলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
প্রসঙ্গত আমেরিকায় অনুপ্রবেশ রুখতে প্রথম থেকেই কড়া হাতে হাল ধরেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ইতিমধ্যে ১১ এপ্রিল থেকে মার্কিন মুলুকে কার্যকর হয়েছে ‘দ্য এলিয়েন রেজিস্ট্রেশন রিকোয়ারমেন্ট’। যেখানে বলা হয়েছে, আমেরিকার নাগরিক নন, ১৪ বছরের ঊর্ধ্বে এমন কেউ সে দেশে ৩০ দিনের বেশি বসবাস করলে সরকারের খাতায় নাম নথিভুক্ত করতে হবে। ‘ফর্ম-জি ৩২৫ আর’ ফিল আপ করতে হবে। অভিবাসীদের মধ্যে কেউ ঠিকানা বদল করলে ১০ দিনের মধ্যে তা ট্রাম্প প্রশাসনকে জানাতে হবে।
১১ এপ্রিলের পর যারা আমেরিকায় পৌঁছবেন ৩০ দিনের মধ্যে তাঁদের এই ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। নিয়ম ভাঙলে জরিমানার সঙ্গে জেল হেফাজতও হতে পারে।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় ৫.৪ মিলিয়ন ভারতীয় রয়েছে। ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, যাদের মধ্যে ২ লক্ষ ২০ হাজার ভারতীয় অবৈধ অভিবাসী। ট্রাম্পের কড়া নিয়মে ইতিমধ্যেই অনেক ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীদের ভারতে ফেরানো হয়েছে।
ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন সে দেশের নাগরিকরা। মিছিল, প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন অগুনতি মানুষ। তা সত্ত্বেও ট্রাম্প সরকার নিজ নীতিতে অটল। সে কারণেই আবারও কড়া নিয়মের বেড়াজাল। সব মিলয়ে ট্রাম্পের নয়া নিয়মে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে অভিবাসী ভারতীয়রা।