ফের বাংলাদেশের বরাদ্দ ছাঁটাই ট্রাম্প প্রশাসনের

ফাইল চিত্র

মোদীর আমেরিকা সফরের মধ্যেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়নে বরাদ্দ কমিয়ে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। জো বাইডেনের শাসনকালে দেশের রাজনৈতিক উন্নয়নে যে ২৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছিল, তা বন্ধ করে দিলেন নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের টাকা বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে মার্কিন প্রশাসনের ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এই বিভাগের শীর্ষ পদে রয়েছেন মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক।

রবিবার এই দপ্তরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে বলা হয়েছে, আমেরিকা সরকারের খরচে লাগাম টানতে পৃথিবীর বেশ কিছু দেশের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে অনুদানপ্রাপ্ত দেশগুলির একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে বাংলাদেশের। তালিকায় দেখা গিয়েছে, জো বাইডেনের সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা যেন শক্তিশালী হয় তার জন্য ২৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছিল আমেরিকা, যা ভারতীয় মুদ্রায় ২৫০ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেই বরাদ্দ বাতিল করে দিয়েছে।

বাংলাদেশে অশান্তির আবহেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছেন মোদী-ট্রাম্প। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘হাসিনার পতনের নেপথ্যে আমেরিকার কোনও ভূমিকাই ছিল না। তবে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি দীর্ঘদিন কাজ করছেন, তাই এই বিষয়টি ওঁর উপরেই ছেড়ে দিলাম।’ পরে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তার কারণ রয়েছে। সেগুলি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে জানিয়েছেন মোদী। এই ঘটনার পরই জানা গেল ট্রাম্পের অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ ইস্যুতে মার্কিন যোগ কিছুটা মেনে নিল আমেরিকা। কিন্তু আগামী দিনে ট্রাম্প প্রশাসন আর বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে যোগ রাখতে চায় না।


উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পরেই ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা ইউএস এইড বাংলাদেশে তাদের সব প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে নির্দেশিকা জারি করে। বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য তো বটেই, সেদেশের মাটিতে আমেরিকার তরফে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ইউনূস শাসনে বাংলাদেশে মৌলবাদের দাপট ও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় শুরু থেকেই সরব ছিলেন ট্রাম্প। বাংলাদেশে ইউএস এইডের যাবতীয় অনুদানের পর মার্কিন প্রশাসনের ‘কনসর্টিয়াম ফর ইলেকশনস অ্যান্ড পলিটিক্যাল প্রসেস স্ট্রেনদেনিং’-এর বরাদ্দও বন্ধ করে দিল তাঁর প্রশাসন।