টর্নেডোর কবলে আমেরিকা, লন্ডভন্ড জীবনযাত্রা

 ওয়াশিংটন, ২৮ মে – রেমালে বিধ্বস্ত বাংলা-বাংলাদেশ। অন্যদিকে টর্নেডোর কবলে আমেরিকা। আমেরিকার মধ্যবর্তী প্রদেশগুলিতে ঝড়ে উড়ে গেল গাড়ি, চোখের নিমেষে টুকরো টুকরো হল বাড়ি। ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১৮। এদের মধ্যে ৪ জন শিশুও রয়েছে। জানা গিয়েছে, দুর্যোগের কবলে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক লক্ষ মানুষ। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয় বহু এলাকা। ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ হিসেব এখন পর্যন্ত মেলেনি। উদ্ধারকাজে নেমেছে মার্কিন প্রশাসন।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মিসিসিপি, ওহিও এবং তেনাসি নদীর আববাহিকা অঞ্চলে কয়েক লক্ষ মানুষ দুর্যোগের কবলে পড়ে। প্রশাসনের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মৃত্যু হয় ১৮ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৪ জন শিশুর। ঝড়ে বাড়ি, গাড়ি, দোকানপাটের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। দুর্বল বহুতলগুলি মাটির সঙ্গে মিশে যায় । রবিবার কমপক্ষে ১১টি টর্নেডো আঘাত হানে। সোমবারের পূর্বাভাসেও  বলা হয়, এখনই থামবে না দুর্যোগ। এর ফলে মধ্য আমেরিকার ১২০ মিলিয়ান মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
 
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কিছুদিন প্রবল হাওয়া, শিলাবৃষ্টি এবং টর্নেডোর জেরে সাধারণ জনজীবন বিপর্যস্ত হতে পারে। রবিবার রাতের দুর্যোগে ফলে ইতিমধ্যে ৬ লক্ষ ৪২ হাজার নাগরিক বিদ্যুৎ সংযোগহীন অবস্থায় রয়েছেন। সবচেয়ে দুঃসহ পরিস্থিতি কেনটাকিতে। সেখানে অন্ধকারে দিন অতিবাহিত করছেন ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষ। এত বড় বিপর্যয় সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন।