ব্রিকসের ১৬ তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে বুধবার জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গালওয়ান সংঘর্ষের পরে প্রথমবার বৈঠক হল নরেন্দ্র মোদী এবং শি জিনপিং-এর। ২০১৯ সালের পর এই প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সংঘাতের আবহে সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মোদী বলেন,’ আমাদের বৈঠক এমন একটা সময় হয়েছে যখন বিশ্বকে ঘিরে রেখেছে যুদ্ধ, সংঘাত, আর্থিক অনিশ্চয়তা, আবহাওয়াগত পরিবর্তন ও সন্ত্রাসবাদ। বিশ্বে চর্চা চলছে উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব- পশ্চিম ভাগাভাগি নিয়ে, এবং প্রযুক্তির যুগে, সাইবার নিরাপত্তা, ডিপ ফেক, জিন ইফরমেশন নিয়ে নানান চ্যালেঞ্জ উঠে আসছে। এরকম পরিস্থিতিতে ব্রিকস থেকে বহু আশা রয়েছে।’ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই-র অপব্যবহার এবং সাইবার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বের সামনে আমাদের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন,’ আমি বিশ্বাস করি যে একটি বৈচিত্র্যময় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্রিকস সব বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি জনগণকেন্দ্রিক থাকা উচিত। আমাদের বিশ্বকে এই বার্তা দেওয়া উচিত যে ব্রিকস একটি বিভাজনমূলক নয়, একটি জনস্বার্থ গোষ্ঠী।’ তাঁর বক্তব্যে মোদী, এই সম্মেলন সাফল্যের সঙ্গে আয়োজনের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ধন্যবাদ জানান। মোদী বলেন,’আমরা সংলাপ ও কূটনীতিকে সমর্থন করি, যুদ্ধকে নয়।’
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে কিছু জরুরি কাজ থাকায় ব্রিকসের মূল সম্মেলন এবং কয়েকটি পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর বুধবারই রাশিয়া থেকে ফেরার কথা। বৃহস্পতিবার শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন ব্রিকস ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হবে। ভারতের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।