ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ( ডিএমপি ) কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেছেন , ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই , এমন বলা যাচ্ছে না। জঙ্গিদের অনলাইনে তৎপরতা লক্ষ করা গেছে জানিয়ে তিনি বলেছেন , পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে থাকবে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা।
জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে পীর সাহেবদের মাজার ও শিয়াদের ঈদগাহগুলোতে বেশি নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন , ঢাকার আশপাশ থেকে ইতিমধ্যে কয়েকজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে জঙ্গিরা সব সময় হামলার সুযোগ খোঁজে। আমরাও তৎপর আছি। তাই আমরা পীর সাহেবদের মাজার ও শিয়াদের ঈদগাহগুলোতে বেশি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আজ শুক্রবার বেলা ১১ টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলছিলেন।
জাতীয় ঈদগাহ এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ কমিশনার বলেন , আগে থেকেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট , ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হচ্ছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। জাতীয় ঈদগাহে স্থাপিত অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে । যে যেখানে নামাজ পড়েন না কেন , ডিএমপি সার্বক্ষণিক মানুষের নিরাপত্তায় রয়েছে।
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে ঈদগাহ ময়দানে আসার অনুরোধ জানিয়ে কমিশনার বলেন , নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা আনতে পারবেন। তবে মুঠোফোন না আনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন , মুঠোফোন আনলে পাঞ্জাবির পকেটে না রেখে তা যেন হাতে রাখা হয় । কারণ , একশ্রেণির মানুষ নামাজ পড়তে না এসে চুরির সুযোগ খোঁজে। তবে ঈদগাহে ব্যাগসহ অন্য কিছু আনার সুযোগ থাকবে না।
ঈদের ছুটিতে ঢাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন , আমরা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাধারণত যে বিষয়গুলো বলে থাকি , সেগুলো যদি মানুষ মেনে চলে , তাহলে জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত হয়।
যে যেখানেই যান , আপনার মূল্যবান সম্পদের হেফাজত নিজ থেকে করবেন। যারা ঢাকা থেকে বাড়িতে যাবেন , তাদেরকে বাসার গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র , বিশেষ করে সোনা ও টাকা ব্যাংকের লকারে রেখে যাওয়ার অনুরোধ করছি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন , শপিং মল ও সোনার দোকানের নিরাপত্তার জন্য ১৫ দিন আগে থেকেই মার্কেটের নিরাপত্তাকর্মীদের তথ্য নেওয়া হয়েছে , যাতে অপরাধ করে কেউ পালিয়ে থাকতে না পারেন।
কারণ , বিভিন্ন চুরির ঘটনার সঙ্গে অনেক নিরাপত্তাকর্মীর যোগসাজশ থাকে। মোটরসাইকেল চলতে দেওয়া নিয়ে কমিশনার বলেন , শর্ত সাপেক্ষে মোটরসাইকেল চলতে দেওয়া হবে।
সারা দেশে এক ফরম্যাটে পাস ফরম করা হয়েছে। যার যাওয়া প্রয়োজন , তাকে অনুমতিপত্র নিয়ে যেতে হবে। আমাদের সবার উদ্দেশ্য মানুষকে নিরাপদে যেতে দেওয়া , কাউকে আটকে রাখা নয়।