রাষ্ট্রসংঘ, ২৯ মার্চ – সন্ত্রাসবাদীদের হাতে যাতে টাকা পৌঁছে না যায়, তা নিশ্চিত করতে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললো রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিশদ। আর গোটা প্রক্রিয়া ভালোভাবে পরিচালনা করার জন্য আইন তৈরিরও পরামর্শ দিয়েছে তারা। ফ্রান্সের তৈরি করা প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করেন কাউন্সিল। তাতে বলা হয়েছে, গুরুতর অপরাধ যাতে সংগঠিত হতে না পারে তার জন্য আইনকে আরও কড়া কপ্রতে হবে। জঙ্গিদের টাকার জোগান যারা দেয়, তাদের খুঁজে বের করাটা খুবই জরুরি। পাশাপাশি এই খাতে কেউ কোনও আর্থিক সাহায্য পাছে কিনা, তা জানতে পৃথক প্রতিষ্ঠান গঠনের কথাও বলেছেন রাষ্ট্রসংঘ। সন্ত্রাসবাদী ইস্যুতে আগে কখনও এভাবে প্রস্তাব পেশ হয়নি।
ভারত এম্নিতে বলে আসছে পাকিস্তান জঙ্গিদের নানাভাবে মদত দেয়। পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালানো হয়। এবার সন্ত্রাসবাদী প্রসঙ্গে এই প্রস্তাব পাশ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি ভারত। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরাউদ্দিন বলেছেন, রাষ্ট্রসংঘ মনে করে সন্ত্রাস দমনে ভারতের সদিচ্ছা আছে। রাষ্ট্রসংঘ সব দিক বিবেচনা করেই এই প্রস্তাব পাশ করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে সমস্ত দেশ সন্ত্রাসবৃদ্ধির জন্য ক্ষমা চায়, তারাই আবার এখনও ঘুরপথে সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করবে। তাঁর মন্ত্যবের লক্ষ্য যে পাকিস্তান, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।
এমনিতেই জঙ্গি সংগঠন জইশ-এ-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল টেররিস্ট বা বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করতে চায় আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলি। রাষ্ট্রসংঘে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েও দিয়েছে তারা। আদতে চিন একেবারে শেষ মুহূর্তে ভেটো না দিলে মাসুদ আজহারকে এতদিনে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে দেয়া হত।