• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

নো‍বেলজয়ী অর্থনীতি‍বিদ ইউনুসকে ‍বাংলাদেশের অন্তর্‍বর্তী সরকারের প্রধান হিসে‍বে চাইছে অন্দোলনকারীরা

  ঢাকা, ৬ অগাস্ট – প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর সোমবারই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সাংবাদিক সম্মেলনে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গড়ার কথা ঘোষণা করেন। এরপরই এই সরকারের প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া ,শীর্ষ সারির ছাত্রনেতারা জানিয়ে দিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে তাঁরা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুসকে চান। যদিও সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনুসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে সবার আগে উঠে আসছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নাম। সেনা শাসন সরিয়ে ‘দেশ গড়তে’ এই ইউনুসকে চেয়ে ভিডিও বার্তা দিতেও দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারী ছাত্রদের। একটা সময়ে শেখ হাসিনাকে ‘রক্তচোষা’ বলে আক্রমণ করেছিলেন এই অর্থনীতিবিদ। এর পর এক মামলায় ৬ মাসের কারাদণ্ড হয়েছিল ইউনুসের। বর্তমানে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন ছাত্ররা। ইউনুস নিজে অবশ্য এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থানকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন। সোমবারই কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা পড়ুয়ারা জানিয়ে দেন, সেনা-সমর্থিত বা রাষ্ট্রপতি শাসিত কোনও সরকারকে সমর্থন করা হবে না। প্রস্তাবিত সরকার ছাড়া অন্য কোনও সরকারকে সমর্থন করা হবে না বলেও জানানো হয়। নতুন সরকারের রূপরেখা গঠনের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলেন পড়ুয়ারা।   প্রধানমন্ত্রী তালিকায় দ্বিতীয় যে নাম উঠে আসছে তিনি বিএনপি প্রধান তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বিরোধী নেত্রী হিসেবে হাসিনা সরকারের কোপে পড়ে ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল জিয়ার। ২০১৮ সালে এক ঘুষ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন। যদিও ৭৮ বছর বয়সি খালেদার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী তালিকায় তাঁর নামও উঠে আসছে।   বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক জিয়াও রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে। ইনি খালেদা জিয়ার পুত্র। দুর্নীতি মামলায় হাসিনা সরকারের কোপে পড়ে ব্রিটেনে পালিয়ে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক। সরকার পতনের পর বাংলাদেশে ফিরে আসছেন তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে রয়েছেন বাংলাদেশের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর আবদুর রৌফ তালুকদারও।   তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রধানমন্ত্রী আসনে যেই বসুক না কেন বাংলাদেশ পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত। মঙ্গলবার সকাল এই ইস্যুতে সর্বদল বৈঠকও হয় সংসদে

 
ঢাকা, ৬ অগাস্ট – প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর সোমবারই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সাংবাদিক সম্মেলনে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গড়ার কথা ঘোষণা করেন। এরপরই এই সরকারের প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া ,শীর্ষ সারির ছাত্রনেতারা জানিয়ে দিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে তাঁরা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুসকে চান। যদিও সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনুসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে সবার আগে উঠে আসছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নাম। সেনা শাসন সরিয়ে ‘দেশ গড়তে’ এই ইউনুসকে চেয়ে ভিডিও বার্তা দিতেও দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারী ছাত্রদের। একটা সময়ে শেখ হাসিনাকে ‘রক্তচোষা’ বলে আক্রমণ করেছিলেন এই অর্থনীতিবিদ। এর পর এক মামলায় ৬ মাসের কারাদণ্ড হয়েছিল ইউনুসের। বর্তমানে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন ছাত্ররা। ইউনুস নিজে অবশ্য এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থানকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন।
সোমবারই কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা পড়ুয়ারা জানিয়ে দেন, সেনা-সমর্থিত বা রাষ্ট্রপতি শাসিত কোনও সরকারকে সমর্থন করা হবে না। প্রস্তাবিত সরকার ছাড়া অন্য কোনও সরকারকে সমর্থন করা হবে না বলেও জানানো হয়। নতুন সরকারের রূপরেখা গঠনের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলেন পড়ুয়ারা।
 
প্রধানমন্ত্রী তালিকায় দ্বিতীয় যে নাম উঠে আসছে তিনি বিএনপি প্রধান তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বিরোধী নেত্রী হিসেবে হাসিনা সরকারের কোপে পড়ে ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল জিয়ার। ২০১৮ সালে এক ঘুষ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন। যদিও ৭৮ বছর বয়সি খালেদার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী তালিকায় তাঁর নামও উঠে আসছে।
 
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক জিয়াও রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে। ইনি খালেদা জিয়ার পুত্র। দুর্নীতি মামলায় হাসিনা সরকারের কোপে পড়ে ব্রিটেনে পালিয়ে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক। সরকার পতনের পর বাংলাদেশে ফিরে আসছেন তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে রয়েছেন বাংলাদেশের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর আবদুর রৌফ তালুকদারও।
 
তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রধানমন্ত্রী আসনে যেই বসুক না কেন বাংলাদেশ পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত। মঙ্গলবার সকাল এই ইস্যুতে সর্বদল বৈঠকও হয় সংসদে