• facebook
  • twitter
Friday, 29 November, 2024

চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের প্রতি সমর্থন রয়েছে, বিবৃতি দিল বাংলাদেশ ইসকন 

বাংলাদেশ সরকারের হাতে গ্রেপ্তার এবং কারাবন্দি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে দূরে সরিয়েছে ইসকন - এই দাবি প্রত্যাখ্যান করল হিন্দু আধ্যাত্মিক এই সংগঠন। এক বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশ ইসকন জানিয়েছে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের প্রতি ইসকনের সমর্থন রয়েছে। পাশাপাশি দেশে হিন্দুদের অধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে ইসকন।

বাংলাদেশ সরকারের হাতে গ্রেপ্তার এবং কারাবন্দি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে দূরে সরিয়েছে ইসকন – এই দাবি প্রত্যাখ্যান করল হিন্দু আধ্যাত্মিক এই সংগঠন। এক বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশ ইসকন জানিয়েছে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের প্রতি ইসকনের সমর্থন রয়েছে। পাশাপাশি দেশে হিন্দুদের অধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে ইসকন। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে নিয়ে ইসকনের অবস্থান সংক্রান্ত বিতর্কের মধ্যেই বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারি স্তরে কোনও আলোচনাই হয়নি। 

 
বাংলাদেশে ধৃত হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস সম্পর্কে শুক্রবার সকালে নতুন অবস্থান স্পষ্ট করল ইসকন। বৃহস্পতিবার বলা হয়েছিল, চিন্ময়ের কোনও কাজের দায় ইসকন নেবে না। কারণ, তিনি ইসকনের কেউ নন। শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ইসকনের তরফে নতুন বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতি মারফত জানানো হয়, চিন্ময়কৃষ্ণকে সমর্থন করে বাংলাদেশ ইসকন। তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি। তাঁর সম্পর্কে কিছু কথা ‘স্পষ্ট’ করে দেওয়া হয়েছে। ইসকনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চিন্ময়কৃষ্ণের অধিকার, বাংলাদেশে হিন্দুদের এবং তাঁদের ধর্মীয় স্থানগুলি রক্ষার জন্য তাঁর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে ইসকন। তাঁর থেকে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি। ইসকন বিবৃতিতে বলেছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অধিকার এবং স্বাধীনতাকে সমর্থন করা থেকে ইসকন নিজেকে দূরে রাখেনি এবং রাখে না।  আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, তিনি ইসকনের সদস্য নন। বাংলাদেশের ইসকনের প্রতিনিধিত্ব তিনি করছেন না। গত কয়েক মাসে এই কথা একাধিক বার আমরা বলেছি।’ প্রসঙ্গত,  মহম্মদ ইউনুস সরকার ২৫ নভেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। চলতি বছরের অক্টোবরে চিন্ময়কে ইসকন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
 
বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের প্রতিবাদে আয়োজিত একটি সমাবেশে জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে তাঁর জামিনও খারিজ হয়েছে। চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম, রংপুরের মতো জায়গায় সংখ্যালঘুরা প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষও হয়েছে। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বাংলাদেশের আইনরক্ষা বাহিনীর সংঘর্ষে মঙ্গলবার চট্টগ্রামে এক আইনজীবীর মৃত্যুও হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে। এর মাঝেই ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে মামলা হয় বাংলাদেশের হাই কোর্টে। বাংলাদেশ সরকার আদালতে ইসকনকে ‘ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন’ বলেও উল্লেখ করেছে। তবে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে। এর পরেই চিন্ময়কৃষ্ণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে বার্তা দিয়েছিল ইসকন।
 
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন,  ‘কয়েকমাস আগেই শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস, সদস্য গৌরাঙ্গ দাস এবং চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করেছে ইসকন বাংলাদেশ। তাই তাঁর কোনও রকম বক্তব্য কিংবা কার্যকলাপের দায় ইসকনের নয়।’ চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য হল আমাদের সংগঠনকে অসম্মান করা এবং সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করা। তার পর শুক্রবার সকালে সংগঠনের তরফে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রসঙ্গে অবস্থান আবার স্পষ্ট করা হল। এক দিনের মধ্যে সেই অবস্থান বদল করা হল।