আফগানিস্তানে উলট-পুরান! কী হল তালিবানের? ক্ষমতায় আসার পর প্রথম প্রথম নরম সুরে কথা বলার পর, সময় যত গিয়েছে তত স্পষ্ট হয়েছে কাবুলিওয়ালার দেশে ফের নেমে এসেছে অন্ধকার যুগ। সবথেকে বেশি বিপন্ন মেয়েরা।
কিন্তু এবার তালিবানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি দাবি করলেন, দেশে মহিলাদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে তারা নাকি বদ্ধপরিকর। কেন এই ভোলবদল? আসলে সময় যত যাচ্ছে তত সে দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট বেড়ে যাচ্ছে। দেশ চালাতে হিমসিম খাচ্ছে জেহাদিরা। কার্যত পাকিস্তান ছাড়া আর কোনও দেশই তাদের প্রশাসনকে স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকী ইসলামাবাদও সামনাসামনি কিছু বলেনি।
যদিও রাষ্ট্রসঙ্ঘে তালিবানের হয়ে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে ইমরান খানকে। কিন্তু ওই টুকু সমর্থন ছাড়া তালিবান কার্যত কোণঠাসাই রয়েছে। এমতাবস্থায় তালিবানের বিদেশমন্ত্রী গোটা বিশ্বের দয়া ও সহানুভূতি প্রার্থনা করেছেন। এমনকী আমেরিকার থেকে অর্থসাহায্য নিতেও আপত্তি নেই তাদের।
তাদের এই সাহায্য প্রার্থনা থেকেই পরিষ্কার, গোটা বিশ্বের সমর্থন পেতে আপাতত মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোর এই নাটককে অস্ত্র করে সবার সুনজরে পড়তে চাইছে তালিবানরা। উল্লেখ্য গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবানরা। তারপর থেকেই সে দেশ নিয়ে সারা বিশ্বের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে দ্রুত ফুরিয়ে যেতে বসেছে খাদ্য ও অন্যান্য জীবনদায়ী রসদ। বিধ্বস্ত সে দেশের অর্থনীতি। সেই সঙ্গে চলছে তালিবানি জুলুমও। বিশেষ করে বিপন্ন নারীরা। তালিবান কাবু পরে জানিয়েছিল এটা তালিবান ২.০।
এবার নতুন এক যুগের সূচনা হতে চলেছে। যদিও প্রথম থেকে তাদের দেখানো স্বপ্নের কোনও প্রতিফলনই দৃশ্যগোচর হয়নি বহির্বিশ্বের। খুব একটা আশা ছিল না আফগানদেরও। তাদের প্রত্যাশামতোই যত সময় গিয়েছে ততই কোণঠাসা হয়েছে সাধারণ মানুষ।