রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হাড়ভাঞ্জ খাটুনির দিন শেষ হতে চলেছে চাষিদের। আধুনিক বিজ্ঞান কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাবে খুব তাড়াতাড়ি। মাসের পর মাস শীত-গরম, ঝড়-বৃষ্টির তোয়াক্কা না করেই মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেন যে অন্নদাতারা তাঁদের কথা ভেবেই উন্নত প্রযুক্তি এনেছে বিজ্ঞান।
কষ্ট লাঘব করবে যন্ত্র, তা পরিচালনা করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নিয়ন্ত্রণ থাকবে মানুষের হাতেই। কম্পিউটার প্রযুক্তিতে এমন সাড়া ফেলে দেওয়া আবিষ্কার হয়েছে আমেরিকায়।
সারা পৃথিবীতেই তা ছড়িয়ে পড়বে। জন ডিয়ার নামে আমেরিকার প্রথম সারির সংস্থা তৈরি করেছে এমন এক অভিনব ট্রাক্টর যা চলবে মানুষ ছাড়াই।
সেল্ফ-ড্রাইভিং ট্রাক্টর যা অপারেট করা যাবে স্মার্টফোনে। এর নাম ৮ আর ট্রাক্টর। স্মার্টফোন দিয়ে খেতের আলে বসেই চাষের কাজ করতে পারবেন কৃষকরা।
অসুস্থ হলে ঘরে বসেই অপারেট করা যাবে ট্রাক্টর। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা খোলা মাঠে পরিশ্রম করতে হবে না জন ডিয়ার জানিয়েছে, এই ট্রাক্টর আসলে যন্ত্রচালিত রোবট।
যা করবে নিজে থেকেই। তেমনভাবেই প্রোগ্রামিং করা আছে। এতদিন আমেরিকায় চাষের কাজে জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করছিলেন কৃষকরা।
এই ট্রাক্টরে জিপিএস তো থাকছেই, আরও উন্নত সেলফ-অটোনোমাস সিস্টেম থাকছে। স্মার্টফোনে সঠিক পদ্ধতিতে অপারেট করলেই খেত চষে ফেলবে ট্রাক্টর।
দিনে ও রাতে যে কোনও আবহাওয়ায় ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে। ট্রাক্টরের দিক বদল, গতি বদল সবই অপারেট করা যাবে স্মার্টফোনে। ছ’জোড়া ক্যামেরা থাকবে ট্রাক্টরে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স এই ট্রাক্টরের কাজকর্ম জানানো পরিচালনা করবে। স্টিয়ারিং হাতে না নিয়েই এটি ডানদিকে বা বাঁ দিকে ঘোরানো যাবে।
ট্রাক্টরের সামনে কোনও প্রাণী চলে এলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি বন্ধ হয়ে যাবে বা গতিপথ বদলে নেবে নিজে থেকেই। গোটা সিস্টেম এমনভাবেই ঠিক করা হয়েছে কম্পিউটার প্রযুক্তিতে।
আপাতত ২০টি এমন ট্রাক্টর তৈরি করেছে জন ডিয়ার। দাম পড়বে ৫০ হাজার ডলারের মতো। তবে এর দাম পরবর্তী সময়ে আরও কমানো হবে বলেই হয়েছে।