অবশেষে জাপানের পুলিশ স্বীকার করল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের নিরাপত্তায় ত্রুটি ছিল। প্রকাশ্য জনসভায় নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে শিনজো আবেকে গুলি করে বন্দুকধারী আততায়ী।
তারপর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। সেই শোকের আবহেই রবিবার জাপান সংসদের উচ্চকক্ষের নির্বাচন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা-সহ অন্যান্য হাই প্রোফাইল নেতাদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভোটের জন্য আলাদা করে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
আর এই ঘটনার পরই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে ওঠে বড়-সড়ো প্রশ্ন। নারা শহরের পুলিশ প্রধান টোমাওকি ওনিজুকা স্বীকার করেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি।
রবিবার তিনি জানিয়েছেন, ‘একথা মেনে নিতেই হবে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল।’
হিংসার জবাব দিতেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যার পরও নির্ধারিত সূচি মেনেই ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবের হত্যাকাণ্ডের পর শুক্রবার নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু তার পরদিনই, শনিবার ফের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও প্রচার শুরু করা হয়েছিল। শিনজো আবের মৃত্যুর পরে দেশজুড়ে শোকের আবহ। তবুও অধিকাংশ মানুষই ভোট দিতে এসেছিলেন।