ইসলমাবাদ, ২১ ফেব্রুয়ারি– গত প্রায় দুসপ্তাহ ধরে পাকিস্তানের মসনদে কে বসবে, তা নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি চলছিল৷ অবশেষে কাটল জট৷ মঙ্গলবার মধ্যরাতের বৈঠকের পর আসন সমঝোতা পাকা হল পাকিস্তানের বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও শাহবাজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের মধ্যে৷ যার জেরে শাহবাজ শরিফের প্রধানমন্ত্রিত্বেই পড়ল শিলমোহর৷ আসিফ আলি জারদারি মনোনীত হবেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে৷ এই গাঁটছড়ায় সবথেকে বেশি আসন পাওয়া ইমরান খানের দলের আর মসনদ পাওয়া হল না৷
এদিন অবশেষে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি জানিয়েছেন, ‘দুই দলের কাছেই সরকার গড়ার মতো সংখ্যা রয়েছে৷ পিপিপি এবং পিএমএল-এন প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছে৷ এখন আমরা সরকার তৈরির জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি৷’ এ কথায় সায় দেন পাশে বসে থাকা শাহবাজও৷ হবু প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ইমরানের পিটিআই এবং সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল প্রয়োজনীয় সংখ্যায় পৌঁছতে পারেনি, কিন্ত্ত তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন৷
আর এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? দুই দলেরই দাবি, তাঁদের পার্টির নেতাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে৷ সেই মতো নওয়াজ শরিফের দলের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, সরকারের প্রথম তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ৷ পরের দুবছরের জন্য কুরসিতে বসবেন পিপিপি নেতা বিলাওয়াল৷ কিন্ত্ত সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ ফিরিয়ে দেন প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর পুত্র৷ পরে অবশ্য বিলাওয়াল জানিয়ে দেন, ”এইভাবে আমি প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না৷ যদি প্রধানমন্ত্রী হতেই হয়, তাহলে পাকিস্তানের মানুষের ভোটে জিতে এসে হব৷” এই পরিস্থিতিতে পাক মসনদে বসতে চলেছেন শাহবাজ শরিফ৷ অন্যদিকে আসিল আলি জারদারি সম্পর্কে বিলাওয়ালের মত, জারদারি প্রেসিডেন্ট হলে দেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি শান্ত হবে৷
এদিকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হওয়া নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশি হলে দেখা গিয়েছিল, সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করেছেন ইমরানের দলের প্রতিনিধিরাই৷ যদিও তাঁরা আসলে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবেই ভোটে দাঁডি়য়েছিলেন৷ কিন্ত্ত তাঁরা বেশি আসনে জিতলেও যেহেতু একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে পারেননি, তাই শেষপর্যন্ত তাঁদের পক্ষে সরকার গড় সম্ভব হল না৷