বিধ্বংসী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মায়ানমার। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল একাধিক বহুতল, বাড়িঘর, মসজিদ ও ব্রিজ। একাধিক জায়গায় রাস্তায় ফাটল ও ধসের সৃষ্টি হয়েছে। ভূমিকম্পের পর নিখোঁজ অনেক। অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ভূ-কম্পনের ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে থাইল্যান্ড ও ভারত সহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ সাত মিনিটের ব্যবধানে পর পর দুইবার এই ভূকম্পনের জেরে ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা মায়ানমার।
প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মায়ানমার থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে এখানকার হোটেল, শপিংমল কাঁপতে শুরু করে। সেখানে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ভয়াবহ দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। এই কম্পনে কতজন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে সেটাও এখনও জানা যায়নি। এছাড়া দিল্লি ও কলকাতা সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশেও কমবেশি ভূমিকম্প হয়েছে। প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ প্রথম কম্পনটি অনুভূত হয়। আর দ্বিতীয় কম্পনটি অনুভূত হয় ১২টা ২ মিনিটে। দুটি কম্পনের প্রথমটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৫ এবং দ্বিতীয়টির মাত্রা ৭ বলে জানিয়েছে ভারতের ভূতত্ত্ব বিভাগ বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। তবে এবিষয়ে আমেরিকার ভূতত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে। রিখটার স্কেলে প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.৭ এবং দ্বিতীয়টির মাত্রা ৬.৪ বলে জানিয়েছে ইউএস জিয়োলজিক্যাল সার্ভে।
প্রথম কম্পনটির উৎসস্থল ছিল মায়ানমারের বর্মা প্রদেশের ১২ কিলোমিটার উত্তরে এবং দ্বিতীয়টির উৎসস্থল ছিল মায়ানমারের লকসকের ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে। দুটির ক্ষেত্রেই মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তিস্থল ছিল।