ইউক্রেনের পর এবার ইওরোপের বিভিন্ন দেশের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, দরকার হলে পশ্চিম ইওরোপে হামলা চালাতে পিছপা হবেন না তিনি। পাশাপাশি তাঁর দাবি, রাশিয়া যে দূরপাল্লার আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, তা কোন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার সাহায্যে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধের পর ফের এক সংকটের সামনে পড়ে যেতে পারে ইওরোপ।
১৯ নভেম্বর রুশ হানার ১ হাজার তম দিনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সেনা ‘আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম’ ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় হামলা চালায়। তার পর থেকেই ধারাবাহিক হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালালে তার পরিণতি ভাল হবে না বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পুতিন।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই দূরপাল্লার হাইপারসনিক আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রুশ ফৌজ। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটিতে অবশ্য পরমাণু বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়নি। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মূলত হুঁশিয়ারি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই মস্কোর এই পদক্ষেপ।
৩ বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সাহায্য দিয়ে এসেছে পশ্চিমেরে মিত্ররা। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাত হানার আগেই রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সেগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুতিন। গতকাল তিনি বলেন, শত্রুরা যা লক্ষ্য করেছিল, তা অর্জন করতে পারেনি। আর রাশিয়ার ওপর হামলা চালাতে যেসব দেশ তাদের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে, ওই দেশগুলোর সামরিক স্থাপনায় হামলার বিষয়টিও বিবেচনা করতে পারে মস্কো।
বুধবার রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। সেখানে তিনি জানান কোনও পরমাণু শক্তিধর দেশের সমর্থনে যদি কোনও দেশ রাশিয়ায় হামলা চালায় , তবে তাঁরা সেটি যৌথ হামলা বলে ধরে নেবেন। সেক্ষেত্রে তাঁরা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবেন।