• facebook
  • twitter
Wednesday, 2 April, 2025

বিজয় দিবসে মস্কোয় এক মঞ্চে তো লাম ও জিনপিংকে আমন্ত্রণ পুতিনের

আগামী ৯ মে মস্কোয় আয়োজিত হতে চলেছে রাশিয়ার ৮০তম বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্বের বিশিষ্ট রাষ্ট্রনেতাদের।

ফাইল চিত্র

চাঞ্চল্যকর তথ্য! এবার একই মঞ্চে দেখা যাবে দুই শত্রু দেশের প্রতিনিধিদের। রাশিয়ার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে থাকবেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভিয়েতনামের শাসকদলের শীর্ষ নেতা তো লাম-কে। বিষয়টি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে। কারণ গত কয়েক বছর ধরে চিনের সঙ্গে ভিয়েতমানের সাপে-নেউলে সম্পর্ক। তাদের মধ্যে নিয়মিত সংঘাত লেগেই রয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই সংঘাতের সূত্রপাত। সেজন্য লাল ফৌজের সঙ্গে ভিয়েতমানের নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ অব্যাহত। এই আবহে মস্কোয় পুতিনের আমন্ত্রণে এক মঞ্চে জিনপিং এবং তো লামের হাজিরার ঘটনা যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত আগামী ৯ মে মস্কোয় আয়োজিত হতে চলেছে রাশিয়ার ৮০তম বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্বের বিশিষ্ট রাষ্ট্রনেতাদের। ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ নেতা ‘তো লাম’ সহ বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতার হাজির থাকার কথা রয়েছে। সেই তালিকা এখনও চূড়ান্ত না হলেও মস্কোর রেড স্কোয়্যারে আয়োজিত ওই কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ একই মঞ্চে দেখা যাবে শি জিনপিং ও ভিয়েতনামের শীর্ষ নেতা ‘তো লাম’-কে, যা এতদিন চিন্তার বাইরে ছিল। কারণ, এই মুহূর্তে ভিয়েতনাম ও চিন দুই দেশের ঘোরতর শত্রু।

তবে অকল্পনীয় হলেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ার উপ-বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রে রুডেনকো। শনিবার এ ব্যাপারে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, এশিয়ার আরও কয়েকজন রাষ্ট্রনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আর কারা থাকবেন, সে বিষয়ে প্রেসিডেন্টের দপ্তর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ১৯৪৫ সালের ৯ মে রাশিয়ার কাছে হিটলারের নেতৃত্বাধীন নাৎসি জার্মানির চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে। সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোসেফ স্তালিন এই বিশেষ দিনে সরকারিভাবে সামরিক অভিযান সমাপ্ত করেন। সেই থেকে ৯ মে বিজয় দিবস পালন করা হয়। এই বিশেষ দিনে মস্কোর রেড স্কোয়ারে সামরিক কুচকাওয়াজও হয়। এবারে রাশিয়ার সেই জাতীয় কর্মসূচিতে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-কে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানাতেই আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গিয়েছে।