বলেন কি ? গাড়ির তেল ফুরালো মানেই জেল, তাও মাসখানেকের জন্য ? ঠিকই শুনেছেন, বিশ্বের এমন এক অনন্য দেশ যেখানে গাডি়র তেল ফুরিয়ে গেলে শাস্তি মেলে, মুক্তি পাবেন না মাসখানেকের মধ্যে! নিয়ম ভেঙে রাস্তায় দ্রুত গাডি় চালানোর জন্য বা হেলমেট না পরার জন্য এক বা একাধিকবার জরিমানা দিতে হয়নি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। যারা গাড়ি চালান তাদের ক্ষেত্রে অসাবধানতাবশতঃ দুর্ঘঠনার ফলেও শাস্তি হতে দেখা গেছে৷ কিন্তু আপনি কখনও শুনেছেন যে, রাস্তার মাঝপথে আপনার গাডি়র তেল ফুরিয়ে গেছে আর আপনাকে পুলিশ বগলদাবা করে সোজা নিয়ে গেছে শ্রীঘরে?
না৷ আমাদের দেশে এটা অন্তত হয় না৷ কিন্তু এই দেশে গাড়ির জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে চালককে জরিমানা করার পাশাপাশি জেলেও যেতে হতে পারে৷ এবং তার জন্য মাসখানেক জেলে থাকতেও হতে পারে৷
অবাক হলেও সত্যি, যে ইউরোপের এক উন্নত দেশ জার্মানিতেই রয়েছে এই আজব নিয়ম৷ চলুন তাহলে আজ আপনাকে এই দেশ সম্পর্কে বলি৷
এক সময়ে জার্মানির স্বৈরশাসক ছিলেন হিটলার৷ যার কারণে বিশ্বে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল৷ যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি ছিল সম্পূর্ণ দরিদ্র দেশ৷ আজ এই দেশটিকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে গণনা করা হয়৷ ইঞ্জিনিয়রিং-র ক্ষেত্রে শীর্ষে উঠে এসেছে এই দেশের নাম৷ তেল ফুরিয়ে যাওয়ার শাস্তিধনী দেশ৷ তাহলে গাডি়র তেল ফুরিয়ে গেলে এখানে শাস্তি কেন? যদিও এর উত্তর কোনও সঠিক উত্তর নেই৷ তবে আজব হল তেল ফুরোলে শাস্তি হলেও এখানে উচ্চ গতিতে গাড়ি চালান অপরাধ নয়। অথচ পথে যদি আপনার গাড়ির জ্বালানি ফুরিয়ে যায় তবে আপনি জরিমানা এবং শাস্তি উভয়ই ভোগ করতে পারেন৷
তবে শুধু তেল ফুরোলেই নয় এখানে আছে আরও আজব নিয়ম। যেমন-
জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জার্মানিতে একেবারেই নিষিদ্ধ৷ এই দেশে কাউকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানালে নাকি খারাপ ভাগ্য পিছু নেয়৷ এখানকার লোকজন এই প্রাচীন বিশ্বাস থেকেই হয়তো কেবল কাউকে জন্মদিনের দিনই কাউকে অভিনন্দন বা শুভেচ্ছা জানান৷
হ্যালো নয়, এখানে লোকে নাম ধরে ডাকেনসাধারণত, আমরা যখন কাউকে ফোন করি বা ফোন ধরি, তখন প্রথমেই আমরা বলি ‘হ্যালো’৷ কিন্ত্ত ফোনে হ্যালো বলার পরিবর্তে, এখানকার লোকেরা সরাসরি তাঁদের নাম ধরে ডাকেন এবং তারপর কথা বলা শুরু করে৷
এখানে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জাবিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গির্জা রয়েছে জার্মানিতে৷ এই চার্চের নাম ‘উলম মিনিস্টার’৷ গির্জাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৩০ ফিট, প্রায় ২০০০ মানুষ এই গির্জায় একসঙ্গে প্রার্থনা করতে পারে৷ শুধু তাই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিডি়য়াখানাও রয়েছে জার্মানিতে৷ আপনি যদি বেড়াতে যান তাহলে এই চার্চটি দেখতে যেন ভুলবেন না৷