ছোট্ট ছেলেটির অপরাধ শুধু এইটুকুই ছিল যে সে স্কুলে তার স্থানীয় ভাষায় কথা বলেছিল। আর সেই অপরাধে তাকে যে শাস্তি পেতে হল তা বোধয় পৃথিবীর সর্বোচ্ছ শাস্তি।
জীবন্ত পোড়ানো চেষ্টা করা হল হুয়ান জ্যামোরানোকে। এর থেকে ভয়ঙ্কর কথা হল যারা এই শাস্তি প্রদান করল তারা তারই সমবয়সী সহপাঠী।
ছাত্রের পরিবার জানিয়েছে যে, কয়েক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর বাড়ি ফিরেছে সে। ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোর কোয়েরেতারো প্রদেশে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওটোমি জাতির হওয়ার কারণে বছর চোদ্দোর হুয়ান জ্যামোরানোকে স্কুলে জাতিবিদ্বেষের শিকার হতে হয়। অভিযোগ, প্রায়ই সহপাঠীরা তার জাত তুলে নানা রকম ভাবে উত্ত্যক্ত করত।
জ্যামোরানোর পরিবারের আরও অভিযোগ, শুধু সহপাঠীরাই নয়, শিক্ষিকাও জাত তুলে তাকে নানা ভাবে হেনস্থা করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দুই ছাত্র জ্যামোরানোর বসার আসনে অ্যালকোহল ঢেলে দেয়। জ্যামোরানো সেই আসনে বসলে তার ট্রাউজার্স অ্যালকোহলে ভিজে যায়। অভিযোগ, এর পরই দুই সহপাঠীর মধ্যে এক জন জ্যামোরানোর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গুরুতর অবস্থায় জ্যামোরানোকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল জ্যামোরানোর
জানা গেছে জ্যামোরানোর মাতৃভাষা ওটোমি হলেও সে ওই ভাষায় কথা বলতে চাইত না। কেননা, ওই ভাষায় কথা বললে তাকে স্কুলে নানা ভাবে অপমান করা হত।
এমনকি জাত তুলেও অপমান করা হত বলে দাবি জ্যামোরানোর পরিবারের আইনজীবী আর্নেস্টো ফ্র্যাঙ্কোর।