দেশজোড়া বনধ ইজরায়েলে, গাজার যুদ্ধ ও হোস্টেজ নীতি নিয়ে জনরোষ

গাজায় চলা এগারো মাসব্যাপী যুদ্ধ এবং হোস্টেজসমস্যার কারণে প্রথম দেশজোড়া বনধ ইজরায়েলে। এই বনধের ডাক দিয়েছে ইজরায়েলের বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন সংস্থা ‘হিস্তাদ্রুত’। গত রবিবার ৬ জন ইজরায়েলি হোস্টেজের মৃত্যুর খবর আসার পরেই গাজার যুদ্ধে সরকারের ভূমিকা নিয়ে জনরোষ দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতেই হিস্তাদ্রুত দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেয়।

সোমবার সকাল ছটা থেকে বনধ শুরু হয়। সরকারি ও পৌর সংস্থার অফিস, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল সর্বত্র ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। ইজরায়েলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়ানেও স্থানীয় সময় আটটা থেকে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য বিমান চলাচল বন্ধ থাকে।

হিস্তাদ্রুতের চেয়ারম্যান আর্নন বার-ডেভিড একটা বিবৃতিতে জানান, ‘আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে একমাত্র আমাদের হস্তক্ষেপেই তারা নড়েচড়ে বসবে, যাদের নাড়িয়ে দেওয়া দরকার।”


তেল আভিভ এবং গিভাতায়িম শহরের মেয়ররা জানিয়েছেন, হোস্টেজদের মুক্তির দাবিতে তাঁরা সোমবার বনধ পালন করবেন।

যদিও এই বনধ চলার কথা ছিলো আগামী মঙ্গলবার অবধি, কিন্তু আর্নন বার-ডেভিড জানিয়েছেন, আজ অর্থাৎ সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধে ছটা অবধি চলবে।

গত ৭ অক্টোবর, ২০২৩ – এ প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি সংস্থা হামাস ইজরায়েলে আচমকা আক্রমণ হানে। ফলস্বরূপ, প্রায় ১২০০ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারান। বহু ইজরায়েলিকে হোস্টেজ হিসেবে ধরেও রাখা হয়, যার প্রতিবাদে ইজরায়েল গাজা স্ট্রিপে প্যালেস্তাইনের ওপর নৃশংস আক্রমণ হানা শুরু করে।

যুদ্ধ পরিচালনা এবং হোস্টেজদের মুক্ত করার নীতি জনগণের সঙ্গে সরকারের অনেকদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। গত রবিবার ছ’জন হোস্টেজ মারা যাওয়ার প্রতিবাদেই এই বনধ, যাতে সরকার সমঝোতায় আসতে বাধ্য হয়।