ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কিকে ভারতে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রী মোদির

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে মোদি (Photo IANS)

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইউক্রেনে তাঁর ঐতিহাসিক সফর চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। জেলেনস্কি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিই ভারতের কাম্য, সেই কথা বৈঠক চলাকালীন মোদি আবারও মনে করিয়ে দেন।

দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনা পর এক প্রেস বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, মোদি জেলেনস্কিকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং জেলেনস্কি এই ‘মহান এবং বৃহৎ’ দেশে আসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।


গত শুক্রবার দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কথোপকথন চলাকালীনই মোদি জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানান।

জয়শঙ্কর সাংবাদিকদের জানান, “১৯৯২ এর পরে এই প্রথম আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন সফরে গেলেন, যেটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটা ব্যাপার। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানানোটাই রীতি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদিও তাই-ই করেছেন। অতএব, আশা রাখি, রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি তাঁর সুবিধা অনুযায়ী ভারতে আসবেন।”

সফর-পরবর্তী দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা উল্লিখিত হয়েছে।

এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে জেলেনস্কি জানান, দুই পক্ষেরই সুবিধামতো যে কোনও একসময়ে ভারতে আসতে পারলে তিনি আনন্দিত হবেন।

জেলেনস্কি বলেন, “যখন কোনও কৌশলগত অংশীদারিত্বের সূচনা হয়, কথোপকথনের সূচনা হয়, তখন আমার মতে বেশি অপেক্ষা করে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই, আর তাই আমার মনে হয় যে, পুনরায় একসঙ্গে শীঘ্রই বসা উচিত।”

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি আরও জানান, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর দেশের যুদ্ধে ভারতকে তাঁর পক্ষে চান।

জেলেনস্কি আরও বলেন, “আপনাদের বৃহৎ ও মহান দেশের কথা আমি অনেক পড়েছি, যা খুবই আগ্রহজনক। আপনাদের দেশকে আমাদের পাশে আমার ভীষণই প্রয়োজন। যখনই আপনাদের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী আমার সঙ্গে দেখা করবার জন্য প্রস্তুত হবেন, আমি তখনই খুব আনন্দের সঙ্গে ভারতে যাব।”

যদিও তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাঁর ভারতসফর নির্ভর করবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পরিস্থিতির উপর।