• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

প্রাণভয়ে পালাচ্ছে মানুষ

ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়ে গেছে।গোলা,বোমার বিস্ফোরণে চিড়েচ্যাপ্টা হতে বসেছে ইউক্রেনের নাগরিকদের জীবন।প্রাণ ভয়ে সবাই দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে।

ইউক্রেন এখন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়ে গেছে। গোলা, বোমার বিস্ফোরণে চিড়েচ্যাপ্টা হতে বসেছে ইউক্রেনের নাগরিকদের জীবন।

বাঁচার জন্য এক অসম লড়াই শুরু হয়েছে ইউক্রেনে। প্রাণ হাতে করে যে যেদিকে পারছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালাচ্ছেন।

কিন্তু আসলে যে কোন জায়গাটি যে প্রকৃতপক্ষে নিরাপদ, তা জানা নেই কারওর।

ফলে অজানা আশঙ্কা এবং মৃত্যুভয়কে সঙ্গী করেই বাঁচতে হবে তাঁদের যুদ্ধ থামা না পর্যন্ত। এদিকে মাথার উপর দিয়ে বিপুল গর্জন করে হুশ হুশ করে উড়ে যাচ্ছে যুদ্ধবিমান।

শহরজুড়ে আপৎকালীন সাইরেনের আওয়াজ। রাস্তায় সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে। রাজধানী কিভ ছেড়ে পালানোর চেষ্টায় শশব্যস্ত মানুষ।

বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফুটতেই যেন আমুল বদলে গিয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিভের ছবিটা।

সকালেই রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের উপর হামলার ঘোষণা করেন। তারপর থেকেই একের পর এক রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে কিভে।

বোমারু বিমানগুলি শহর কাঁপিয়ে উড়ে যাচ্ছে। নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে গাড়ি নিয়ে শহর ছাড়ছে মানুষ। বহু মানুষ আবার মেট্রো স্টেশনের ভিতরে আশ্রয় নিচ্ছেন।

ফলে ক্রমে মেট্রো স্টেশনগুলি ভরে উঠছে নাগরিকদের ভিড়ে। মেট্রো স্টেশনগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে বোমাবর্ষণেও সেগুলি রক্ষা করতে পারবে আশ্রিতদের।

তাই যাঁদের শহর ছাড়ার উপায় নেই, তাঁরা মেট্রো স্টেশনগুলিকেই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। চারদিকে কচিকাঁচা, জোয়ান থেকে বয়স্কদের ভিড়।

সকলের মুখেই একটা আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। মেট্রো স্টেশনগুলি যেন এক লহমায় অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে পরিণত হয়েছে।

ইউক্রেনের এক সাংসদ সোফিয়া ফেডিনা বৃহস্পতিবার সকালেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রুশবাহিনীর হামলা থেকে নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখতে তাঁদের বাঙ্কারগুলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

নিরাপত্তার জন্য ওই বাঙ্কারগুলিতে নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু সরকারের সেই আশ্বাসে যেন ভরসা রাখতে পারছেন না কিভের বাসিন্দারা।

রাশিয়াও যেমন দাবি করেছে, জনবসতি এলাকায় নয় ইউক্রেনের সামরিক এবং বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হবে। রাশিয়ার সেই আশ্বাসেও ভরসা রাখতে পারছেন না ইউক্রেনের নাগরিকরা।