আমেরিকা সফর সেরে দেশে ফিরে বিরােধীদের তীব্র সমালােচনার মুখে পড়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ট্রাম্পের কাছে ভিক্ষা চাইতে পাকিস্তান গেছেন, একথাও শুনতে হয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে পাক প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরের পর সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিতে অনুমােদন পেল পাকিস্তান।
পাকিস্তানকে ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমােদন দিল পেন্টাগন। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে মার্কিন কংগ্রেসকে জানিয়েছে পেন্টাগন। মার্কিন সরকার এর মাধ্যমে পাকিস্তানকে দেওয়া এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের ওপর নজরদারি চালাতে পারবে বলে জানা গেছে।
পাকিস্তান জঙ্গিদের কাছে স্বর্গরাজ্য হয়ে ওঠায় পাকিস্তানকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত সহায়তা বন্ধ রেখেছে আমেরিকা। সেই নীতি থেকে সরছে মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন গােয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, এখনই পাকিস্তানকে সামরিক ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে।
তবে যে অর্থমূল্য অনুমােদন করা হয়েছে তা যুদ্ধবিমানের ক্ষেত্রে সামান্যই। এই আর্থিক সাহায্য মার্কিন নাগরিকদের করের টাকা থেকেও দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান হয়েছে। পাকিস্তানকে পুরাে দাম দিতে হবে।
এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের ওপর নজরদারি চালানাে ৬০ মার্কিন কন্ট্রাক্টরের বেতনের দিতে হবে এই অর্থমূল্য থেকে মার্কিন বিদেশ দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহায়তা স্থগিত রাখার যে পদক্ষেপ ঘােষণা করেছিলেন তাতে কোনও পরিবর্তন হবে না।
মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযােগী এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিদেশ দফতর আনুমানিক ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এফ-১৬ কর্মসূচীর ওপর নজরদারির করছে সেই সমস্ত টেকনিক্যাল সিকিউরিটি টিমের জন্য পাকিস্তানকে বিদেশি সামরিক বিক্রির অনুমােদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য আমেরিকার বিরাগভাজন হয়েছে পাকিস্তান। তার ওপর পাক অধিকৃত বালাকোটে ভারতীয় বিমান হানার পর পাকিস্তান পাল্টা বিমান হানা দেয় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে। মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে আপত্তি তােলে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে পেন্টাগনের প্রস্তাবিত সামরিক সাহায্য বিক্রি উপমহাদেশে বদলাবে না বলে জানান হয়েছে।