প্যারিস, ৮ জুলাই – ফ্রান্সে বাম জোটের ‘জয়’ উদযাপনের জমায়েত, সেখানে ওড়ানো হল প্যালেস্টাইনের পতাকা । বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশ, ওই জমায়েতে একটি বিশাল বড় প্যালেস্টাইনের পতাকা আনা হয়েছিল। সেরকম একাধিক ভাইরাল ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ।
ফ্রান্সে নির্বাচনের প্রাথমিক ট্রেন্ড সামনে আসার পরই প্রচারের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন বাম নেতা জঁ-ল্যুক মেলঁশোঁ। বাম জোটের অন্যান্য নেতারা মুখ খোলার আগেই তিনি লাইমলাইটে চলে আসেন । বাম সমর্থকদের একটি জমায়েতে তিনি বলেন, ‘নিউ পপুলার ফ্রন্টের সদস্যই প্রধানমন্ত্রী হবেন। আদেশনামা জারি করে আমরা অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্তরে প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে আমাদের একমত হতে হবে।’ এই মন্তব্যের পরই সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইজরায়েলের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বামেদের জোট একক বৃহত্তম দল হওয়ার পরই উদ্বেগে পড়ে গিয়েছেন ফ্রান্সের ইহুদিরা। তাঁদের মতে, বামেদের কারণেই ফ্রান্সে ইহুদি-বিদ্বেষ বেড়েছে। এখন বামেদের জোট বৃহত্তম দল হয়ে যাওয়ায় তাঁরা উদ্বিগ্ন বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ফ্রান্সের ভোটে কোনও দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সবথেকে বেশি আসন পেয়েছে বামেদের জোট। ১৮২টি আসনে জিতেছে বামেদের ফ্রন্ট। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁদের জোট পেয়েছে ১৬৮টি আসন। অতি ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালির ঝুলিতে ১৪৩টি আসন । অথচ নির্বাচনের আগে মোটামুটি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বড় অংশই নিশ্চিত ছিলেন যে এবার ক্ষমতায় আসছে অতি ডানপন্থীরা। কিন্তু বামেরা ছবিটা পাল্টে দিয়েছে ।
মারিন ল্য পে’দের হারে ইউরোপে কি অতি ডানপন্থীদের ঝড়ে ইতি পড়ল ? রাজনৈতিক মহলের মতে, এটা সাময়িক ধাক্কা। সার্বিকভাবে অতি ডানপন্থীদের ঝড়ে ইতি পড়েছে, তা বলা যাবে না। কিন্তু এখন ফ্রান্সে যে ত্রিশঙ্কু সংসদ হল, তাতে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। কারণ কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।