জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ভারতকে কোণঠাসা করার শত চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হল পাকিস্তান। কবে এবার ঘরের মাঠেই কোণঠাসা অবস্থা পাকিস্তানের। বালুচিস্তানের আন্দোলনকারীরা এবার ইসলামাবাদের বিরুদ্ধেই রাস্তায় নামল। বালুচিস্তানে পাক সেনার নৃশংস আচরণের কথা তুলে ধরলেন তারা।
জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকস্থলের বাইরে হাতে ব্যানার নিয়ে পাক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কয়েকজনকে সােচ্চার হতে দেখা গিয়েছে কয়েকজন আন্দোনকারীদের। পাকিস্তানের থেকে স্বাধীনতা চায় বালুচিস্তান। এই আন্দোলনের পুরােধা রাজ্জাক বালুচ জানালেন, ‘পাকিস্তান কোনও সভ্য দেশ নয়। বিশেষ করে বালুচিস্তান, সিন্ধু ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে ধরনের নৃশংসতা ওরা দেখিয়েছে, তারপর কাশ্মীরিদের নিয়ে কথা বলার সময় ওদের লজ্জিত হওয়া উচিত’।
রাষ্ট্রসংঘের অফিসের বাইরে তবু খাটিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন বালুচ আন্দোলনকারীরা। বালুচ ইস্যুতে পাকিস্তানের ভণ্ডামির নিন্দা করেছেন আমেরিকা নিবাসী জাতীয় আন্দোলনের কর্মী নবি বক্স বালুচ। তিনি বলেন, পাকিস্তানের পায়ের ছাপ যতদিন তাদের দেশে পড়বে সেখানে শান্তি আসবে না। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি কখনওই বালুচিস্তানের উপরে পাক আবদমনের বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলবেন না বলে জোর দিয়ে জানান নবি বক্স। নিজেদের কথা সকলের সামনে জানাতেই তিনি জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের দফতরের সামনে প্রতিবাদ করছেন।
বালুচিস্তানের নাগরিকদের দাবি, এটা একটা দেশ এবং পাকিস্তানের জন্মেরও বহু আগে তাদের জন্ম। লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘােষণা করার পদক্ষেপের প্রশংসা করে বালুচের আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘এটা চিনের প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে সদর্থক পদক্ষেপ। চিন পাকিস্তানের অপরাধের সঙ্গী। ওরা আমাদের সােনা আর সম্পত্তি লুঠ করছে। বালুচিস্তানের সব সােনার খনি দখল করেছে চিনের সংস্থাগুলি। ওরা বালুচের স্বর্ণখনি থেকে ধনী হয়েছে। পাক সেনার নেতারা এখানকার সম্পত্তি থেকে লাভবান হয়েছে। বালুচিস্তান থেকে পাওয়া টাকা ওরা সুইস ব্যাঙ্কে রেখেছে’।
জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’ তুলে নিয়ে রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রথম থেকেই এই পদক্ষেপের বিরােধিতা করেছে পাকিস্তান। সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় আবারও এর বিরােধিতা করেছে তারা। পাকিস্তানের বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। দিল্লি স্পষ্ট জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়টি একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।