পাকিস্তানে তাৎক্ষণিক তিন তালাক শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হােক, ইমরান খানের সরকারের কাছে এই প্রস্তাব রাখলাে ইসলামিক উপদেষ্টা কমিটি। পাক সংবাদপত্র এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী পাক সরকারকে ইসলাম সম্পর্কিত আইনি পরামর্শদাতা কমিটি ‘ইমলামিক উপদেষ্টা কমিটি’ এই প্রস্তাব দিয়েছে। তবে উপদেষ্টা কমিটির প্রভাবের প্রেক্ষিতে কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি সরকারের তরফ থেকে।
ইসলামিক উপদেষ্টা কমিটির প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে বিশ্বের সব ইসলামিক রাষ্ট্রে তিন তালাককে শাস্তিযােগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করার প্রস্তাব দিল ‘কাউন্সিল অফ ইসলামিক আইডিয়লজি’ (সিআইআই)। তিন তালাক কখনই সমর্থনযােগ্য নয়। অন্যান্য অপরাধের মতােই এটিও শাস্তিযােগ্য অপরাধ বিবেচিত হওয়া উচিত, বলে জানিয়েছে সিআইআই।
সম্প্রতি পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী ফারো নাসিম দেশে প্রচলিত তিন তালাক প্রথা নিয়ে জানিয়েছেন, ইসলামের ইতিহাসে তাৎক্ষণিক তিন তালাককে অপরাধমূলক কাজ বলেই মনে করা হত। দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর তিন তালাকের জন্য শাস্তির প্রচলন করেছিলেন। যে পুরুষ তাঁদের স্ত্রীর সঙ্গে এই ধরণের ব্যবহার করতেন তাদের তিনি অপরাধী বলে মনে করতেন।
পাক আইনমন্ত্রীর মতে, পাক সংসদের নিম্ন কক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লি (এনএ) তিন তালাককে শাস্তিযােগ্য অপরাধ ঘােষণা করে আইন আনতে পারে। দেশের আইনমন্ত্রী ফারাে নাসিমের মতকে সমর্থন জানিয়ে সিআইআই-এর চেয়ারম্যান ড. কুইবলা আইয়াজ দেশে তিন তালাক অবশ্যই শাস্তিযােগ্য অপরাধ হওয়া উচিত বলে জানালেন। এই অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে তাদের কোনও মতামত আছে কি না জানতে চাওয়া হলে সিআইআই চেয়ারম্যান জানান, ‘তাঁদের প্রস্তাব যে সরকাররে শুনতেই হবে তা নয়। যদি আইনমন্ত্রক আমাদের প্রস্তাব মেনে নেয় তাহলে অবশ্যই শাস্তি পেতে পারে অভিযুক্তরা’।
সূত্রের খবর, ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লির আইন ও বিচার সম্পর্কিয় স্ট্যান্ডিং কমিটি বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পর্কিত বিল নিয়ে আলােচনা স্থগিত রেখেছে। কমিটির পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলােচনা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয় মােদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরই দেশে তাৎক্ষণিক তিন তালাক বা তালাক-ই-বিদ্দতের বিরুদ্ধে আইন পাশ করে।