ইসলামাবাদ, ২৬ মার্চ – জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হল পাকিস্তান। একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌ-বিমানঘাঁটি টুবুর্ট। এই হামলায় অন্তত ১২ জন সেনা আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে বলে বালোচদের দাবি। মঙ্গলবার ভোরে দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় বালোচ বিদ্রোহীরা। আচমকা এই হামলায় অশান্ত হয়ে ওঠে বিমানঘাঁটি চত্বর। হামলাকারীদের সঙ্গে পাক সেনার গুলির লড়াই শুরু হয়। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন, বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। এই হামলায় কমপক্ষে ৪টি হেলিকপ্টার ও ৩টি ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হয় এবং কমপক্ষে এক ডজন পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। বিস্ফোরণ আর গুলিবৃষ্টিতে কেঁপে উঠছে টুবুর্ট-এর পিএনএস ঘাঁটি। উল্লেখ্য, মাত্র ৬ দিন আগে পাকিস্তানের গোদার বন্দরে হামলা চালিয়েছিল বালোচরা।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরবেলায় আচমকাই নৌসেনার বিমান ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে সশস্ত্র বালোচ বিদ্রোহীরা। লাগাতার গুলি চালানোর পাশাপাশি শুরু হয় বোমা বিস্ফোরণ। অসমর্থিত সূত্রের খবর, অন্তত ৬ ঘণ্টা ধরে সেনা কর্মীদের সঙ্গে বালোচ বিদ্রোহীদের গুলির লড়াই চলে।এই হামলায় অন্তত ১২ জন সেনা আধিকারিকের মৃত্যু হয় বলে দাবি করে বালোচরা। গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি।
পাকিস্তানের বিদ্রোহীদের দাবি, নৌ সেনার এই ঘাঁটিতেই মোতায়েন থাকে চিনা ড্রোন। সেগুলো লক্ষ্য করেই আক্রমণ চালানো হয়। হামলার পরে বিবৃতি প্রকাশ করে পাক সেনাবাহিনী। জানানো হয়, বালোচ হামলায় শহিদ হয়েছেন এক আধা সেনাকর্মী। সেনার পালটা আক্রমণে নিহত হয় ৫ বিদ্রোহীও। হামলার পরে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, “বড় বিপদের হাত থেকে আমরা বেঁচে ফিরেছি ।” হামলার খবর পেয়েই বাড়তি সতর্কতা জারি হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে।
এই হামলায় অনেকে গুরুতর আহত হন। জরুরি ভিত্তিতে সমস্ত চিকিৎসকদের হাসপাতালে যাওয়া এবং আহতদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, বালুচিস্তানে চিনের বিনিয়োগ নিয়ে ক্ষুব্ধ বিএলএ। যার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন সরকারি জায়গা হামলা চালিয়েছে বিএলএ। এদিন টুবুর্ট বিমানঘাঁটিতে হামলা নিয়ে চলতি সপ্তাহে দু-বার এবং চলতি বছরে তিনবার হামলা চালাল বিএলএ।