ইটালির উপকূলে জোড়া নৌকাডুবি, মৃত কমপক্ষে ১১, নিখোঁজ ৬৪ 

রোম, ১৮ জুন – ভাগ্য ফেরাতে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন অভিবাসীরা। অভিবাসীদের নিয়ে নৌকাগুলি লিবিয়ার উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করে। ছিলেন পাকিস্তান, সিরিয়া, মিশর ও বাংলাদেশের নাগরিকেরা। সঙ্গে ছিল শিশুরাও। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎই দুর্ঘটনা। ভূমধ্যসাগর সংলগ্ন ইটালির উপকূলে জোড়া নৌকাডুবিতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১১ জনের।শেষ পাওয়া খবরে নিখোঁজ ৬৪। মঙ্গলবার এমনটাই জানানো হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের তরফে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই অভিবাসী।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুসারে, অভিবাসীদের নিয়ে নৌকাগুলি লিবিয়ার উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করে। পাকিস্তান, সিরিয়া, মিশর ও বাংলাদেশের নাগরিকেরাও ছিলেন সেখানে। সোমবার ইটালির লামপেদুসা দ্বীপের কাছে ডুবতে থাকা একটি নৌকা থেকে ১০ জনের দেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। ওই নৌকা থেকেই ৫১ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে ইটালির কোস্টগার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। অন্যদিকে, দক্ষিণ ইটালির ক্যালাব্রিয়া উপকূল থেকে প্রায় ১২৫ মাইল দূরে আরেকটি নৌকা ডুবে যায়। সেখানে শিশু-সহ এখনও নিখোঁজ ৬৪ জন। ফলে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির মতে, এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে ইউরোপে আশ্রয় খুঁজতে যাওয়া মানুষজনদের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের পাচারের ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন অসাধু চক্র। নতুন দেশে পৌঁছে দেওয়ার আশা দেখিয়ে তাঁদের রাবারের ডিঙা, কিংবা কাঠের নৌকা , বা  জেলে নৌকায় তুলে দেওয়া হয়। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ বহন করতে গিয়ে এসব নৌকা ভূমধ্যসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে লড়তে পারে না। যার পরিণতি হয় দুর্ঘটনা। তবুও  প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রত্যেক বছর হাজার হাজার মানুষ বেশি উপার্জনের আশায় ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি দেন।  অনেক ক্ষেত্রেই ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় তাঁদের সলিল সমাধি ঘটে ।
 
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইয়েমেন উপকূলেও নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় অন্তত ৪৯ জনের। যার মধ্যে ছিল ৩১ জন মহিলা ও ৬ শিশু। নিখোঁজের সংখ্যা প্রায় ১৪০ কাছাকাছি। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার নাগরিক।