ইজরায়েলি এয়ারস্ট্রাইকে লেবাননজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১০৫ জন, জখম হয়েছেন ৩৫৯ জন। এই তথ্য জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রবিবার মন্ত্রক জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ প্রদেশে। সেখানে ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। আইন আল-দেলব ও সোরে ১৬৮ জন জখম হয়েছেন।
শুক্রবার বেইরুটের দক্ষিণে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমানহানায় নিহত হন লেবাননের হিজবুল্লাহ গ্রুপের প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। এই হাসানের নেতৃত্বেই এক বছর ধরে দু’দেশের সীমান্তে গোলাগুলি চলছিল। হিজবুল্লাহ প্রধানের মৃত্যু পরপরই ইজরায়েলি হানায় মৃত্যু হল শতাধিক মানুষের।
হিজবুল্লাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, তারা গাজায় হামাস জঙ্গিদের সমর্থনে কাজ করছে, যারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। এই হামলার পরই প্যালেস্টাইনে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।
গাজার বদলে এখন ইজরায়েল টার্গেট করেছে লেবানন। আর এর জেরেই লেবাননে কার্যত মৃত্যু মিছিল দেখা দিয়েছে। গত সোমবার থেকে ইজরায়েলি হামলায় শত শত লোক নিহত হয়েছেন। এর আগে ১৯৭৫-১৯৯০ লেবাননের গৃহযুদ্ধ চলাকালীন এত মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, রবিবার দক্ষিণের প্রধান শহর সিডনের কাছে প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালানো হয়েছে। পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল এবং বেইরুট ও সংলগ্ন এলাকা মিলিয়ে কয়েক ডজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
মন্ত্রকের দাবি, ইজরায়েলি বিমান হামলায় দক্ষিণে কানা হাসপাতালের ‘মারাত্মক ক্ষতি’ হয়েছে। লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বেকা উপত্যকার বালবেক-হারমেল অঞ্চলেও ৩৩ জন নিহত ও ৯৭ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া মারজাইউন শহর-সহ দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিয়েহ প্রদেশেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।
ইজরায়েলি হামলায় বেশ কিছু আবাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি অফিস থেকে শুরু করে শপিং মলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।