মৃত্যু হয়েছে ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের আমেরিকার তরফে অন্তত এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ভারতীয় সময় বুধবার মধ্যরাতে বিখ্যাত মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ দাবি করে, লাদেনের ছেলে হামজাকে মেরে ফেলতে সক্ষম হয়েছে আমেরিকা। এরপর সরকারের তরফে দুই আধিকারিকও একই ঘােষণা করেন।
কিন্তু এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত টু শব্দ করেননি প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্প। ফলে কিছুটা হলেও রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। কারণ এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে সবার আগে রাষ্ট্রপতিই জাতির উদ্দেশে তা জানিয়ে থাকেন। এই ক্ষেত্রে তেমনটা করা হয়নি। শুধু তাই নয়, হামজাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে বা কোথায় তাকে নিকেশ করা গিয়েছে সেই সম্পর্কেও এখনও পর্যন্ত কোনও বিস্তারিত তথ্য দেয়নি হােয়াইট হাউস।
তবে আমেরিকার এই বিবৃতি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতাে তােলপাড় হয়ে গিয়েছে গােটা আন্তর্জাতিক মহল। দাবি অনুযায়ী যদি সত্যিই ট্রাম্প প্রশাসন হামজাকে মেরে ফেলতে পারে, আমরিকার জন্য তবে তা বিরাট সাফল্য বলে বিবেচিত হবে। কারণ লাদেনপুত্রকে বহুদিন আগেই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
হামজা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে বিমান সফর থেকে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের মতাে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ফলে হামজার মৃত্যু বিশ্বে সন্ত্রাসবাদকে আরও কিছুটা কোণঠাসা করতে পারবে ওসামা বিন লাদেনের ২০ সন্তানের মধ্যে ১৫তম হামজা বিন লাদেন। ওসামার মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে আল কায়দার নেতৃত্বে ছিল এই হামজাই।
শেষবার হামজাকে আল কায়দার তরফে একটি ভাষণে দেখতে পাওয়া যায়। ওই বছরই সৌদি আরব তার নাগরিকত্ব খারিজ করে দিলে সৌদি আরবকেও হুমকির বার্তা দিয়েছিল নবীন আল কায়দা নেতা হামজা।
পাশাপাশি, আল কায়দার একাধিক ভিডিও ফুটেজে ওসামা বিন লাদেনের পাশে হামজার উপস্থিতি চোখে পড়েছে। অন্যদিকে আমেরিকায় টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর থেকে লাদেন সহ তার ছেলের উপর নজর রাখা হচ্ছিল। লাদেনকে নিকেশ করার পর আমেরিকার নজরে হামজাই ছিল বলা চলে। এমনকী হামজার হদিশ দিতে পারলে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কারেরও ঘােষণা করা হয়।