পারমাণবিক অস্ত্রে এআই-এর নিষেধাজ্ঞায় চিনের না, ভয়ঙ্কর পরিণতির শঙ্কায় বিশ্ব

পারমাণবিক অস্ত্র বিশ্বে কী প্রভাব ফেলতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ জাপানের নাগাসাকি এবং হিরোশিমা। ১৮৪৫-এর পরমাণু বোমায় ধ্বংস হওয়ার পর এখনও সেখানে স্বাভাবিক জীবন সম্ভব হয়নি। এরপরও রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন ও ভারত সমেত বহু রাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে। ফলে বর্তমান বিশ্ব এখন এই রাষ্ট্রগুলির একে-অপরের সঙ্গে খুব সামান্য সমস্যাতেও পরমাণু যুদ্ধের পরিণতিতে ভীত। এবার এই পরমাণু ভয়ের সঙ্গেই জুড়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ (এআই) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের ভয়। দেখা গেছে চিন সহ বহু দেশ তার পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে এআই ব্যবহারের পথে হাঁটতে চলেছে, যা ভয়ঙ্কর এক ভবিষ্যতের দিকে ঠেকে দিচ্ছে বিশ্বকে।

এই ভয়কে দূর করতেই সম্প্রতি বিশ্বের ৬০টি শক্তিধর দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় মিলিত হয়। মিলিত হওয়া দেশগুলির লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা মানুষের হাতে রাখা, নাকি কোনো যন্ত্রের হাতে। আমেরিকা এবং ইউকে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করলেও দূরত্ব বজায় রাখে চিন। অন্যদিকে রাশিয়াকে ডাকা হয়নি ইউক্রেন যুদ্ধে শামিল হওয়ায়। অর্থাৎ বর্তমান বিশ্বের সবথেকে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র মজুতকারী দুই দেশ এই সম্মেলনে শামিল হয়নি।  সিওলে অনুষ্ঠিত আরইএআইএম নামক এই সম্মলনে ১০০টি দেশকে আমন্ত্রণ করা হলেও ৬০টি দেশ পারমাণবিক অস্ত্রে এআই এর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞায় রাজি হয়। কিন্তু চিন পরোক্ষভাবে এমন কোনও ঘোষণা করা থেকে নিজেকে বিরত রাখে। অর্থাৎ চিনের ক্ষেত্রে পরমাণু অস্ত্রে এআই-এর ব্যবহারের ভয় অনেক বেশি বেড়ে গেল।  প্রতিবেশীর জমি দখলে চিন যে কোনও পন্থা অবলম্বনে সিদ্ধহস্ত তা সকলেরই জানা।

সেই লক্ষ্যে ভারতে তার নজর বহু পুরোনো। সেই লক্ষ্য পূরণে চিন বহুকাল অস্ত্র মজুত করছে। সেই অস্ত্রের তালিকায় চিনের কাছে রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রের বিশাল ভান্ডার। চলতি বছরের জুন মাসে হোয়াইট হাউস তরফেও জানানো হয়, অনুরোধ করা হলেও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে এআই-এর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা বসাতে চায়নি চিন।  বর্তমানে চিনের কাছে ৫০০টি, রাশিয়ার কাছে ৫,৫৮০ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। বাকি দেশগুলোর কাছেও এই সংখ্যা নেহাত কম নয়। ওয়াশিংটন রিপোর্ট বলছে, চিন ইতিমধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রে এআইএর ব্যবহারের ওপর কাজ করছে যা আগামী বিশ্বের কাছে অতি দুশ্চিন্তার।