কথায় বলে, ‘একে তো রামে রক্ষা নেই, তাতে আবার সুগ্রীব দোসর!’ প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও পরিস্থিতি যেন সেরকমই। একদিকে রাশিয়া ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে নাগাড়ে চলছে এই আক্রমণ। তাতে আবার ইউক্রেনের খুব কাছেই সেনা মোতায়েন করেছে উত্তর কোরিয়া। ফলে উভয় সঙ্কট জেলেনস্কির শিয়রে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া যেখানে সেনা মোতায়েন করেছে, তার কয়েক কিলোমিটার পথ পেরোলেই ইউক্রেনের সীমান্ত। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, কিম জংয়ের উদ্দেশ্য কী? তাঁর সেনাবাহিনী কি ইউক্রেনের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে? বাইডেন সরকার বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিষয়টির ওপর কড়া নজর রাখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এবিষয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। ইতিমধ্যেই ইউক্রেন সীমান্তে এই পরিস্থিতি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ছাড়পত্র দিয়ে রেখেছেন জেলেনস্কি সরকারকে। বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী যদি ইউক্রেনের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে, তাহলে পাল্টা জবাব দিতে হবে ভলোদিমিরকে। তিনি ইউক্রেনকে নিদান দিয়ে রেখেছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী যদি সীমান্ত পার করে, তবে ইউক্রেনকে পাল্টা জবাব দিতে হবে।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার আমেরিকার পেন্টাগন দাবি করেছে, রাশিয়ার কুরস্ক এলাকায় ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে উত্তর কোরিয়া। এদের প্রায় তিন হাজার সেনাকে ইউক্রেন সীমান্তে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি চাউর হতেই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে ইউক্রেনে। তবে কিম জং-এর প্রকৃত উদ্দেশ্য কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের অনুমান, রাশিয়ার পাশে দাঁড়াতেই উত্তর কোরিয়ার এই সেনা সমাবেশ। রাশিয়ার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে চলেছে উত্তর কোরিয়া।