ঢাকা- বিএনপি’র হঠাৎ ‘একেবারে ঝিমিয়ে পড়া’ তাদের রাজনীতির সঙ্গে মিলছে না।
দলের সুপ্রিমো, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং ‘আপোসহীন নেত্রী’ খালেদা জিয়া কারাগারে, ‘যুবরাজ’ ও দলের ভবিষ্যৎ নেতা তারেক রহমান অন্য একটি মামলায় ১০ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত, বিদেশে অবস্থান করতে হচ্ছে দুই দন্ড মাথায় নিয়ে, কিন্তু দলের তেমন কোনও রাজপথ ঝাঁপানো কর্মসূচী নেই, দেশ অচল করে দেওয়ার ঘোষণা নেই।
শুধু একঘন্টার মানববন্ধন ও সর্বশেষ প্রতীক অনশন। তাও মাত্র তিন ঘন্টার। বলা হয়েছিল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত অনশন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, পুলিশের অনুরোধে তারা কর্মসূচী সংক্ষিপ্ত করেছে। সত্যিই বিস্ময়কর। বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে মেলানো যাচ্ছে না, মিলছে না হিসেব। বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা অবশ্য বলছেন, ন্ত্রী কোনও সহিংস আন্দোলনে যেতে নিষেধ করে গেছেন।
তারেক জিয়াও চান আপাতত কোনও কঠোর কর্মসূচী নয়। কঠোর কোনও আন্দোলনের কর্মসূচী দিয়ে শক্তিক্ষয় নয়। দলের মূল লক্ষ হবে নির্বাচন। সেপ্টেম্বর থেকে কঠোর লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচী চালাবে বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের ওপর নির্ভর করছে। আদালত যদি অনুমোদন দেয়, নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই।
আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার কারাদন্ডের পর দেশের মানুষ কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। এতে হতাশ হয়ে বিএনপি নেতারা বিদেশিদের দ্বারস্থ্ হচ্ছেন।