• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

গাজায় তীব্র খাদ্য সংকট-ওষুধের আকাল, ইজরায়েলের হামলায় ধ্বংস ৫৭ শতাংশ কৃষিজমি!

রাফাহ, ৮ জুলাই– গত ১০ মাস ধরে চলছে যুদ্ধ৷ গাজা-ইজরায়েল যুদ্ধের শিকার দু’দেশেরই লক্ষ-লক্ষ সাধারণ নিরীহ মানুষ৷ চারিদিকে শুধু বারুদের পোড়া গন্ধ৷ তারসঙ্গে চলছে স্বজনহারা কান্না৷ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহগুলি থেকে নিজেদের প্রিয়জনকে খোঁজার চেষ্টা করছে বেশ কিছু মানুষ৷ এরথেকে ভয়ঙ্কর অবস্থা শুরু হয়েছে তাদের জন্য যারা আপাতত জীবীত৷ গাজায় শুরু হয়েছে খাদ্যের জন্য হাহাকার৷

রাফাহ, ৮ জুলাই– গত ১০ মাস ধরে চলছে যুদ্ধ৷ গাজা-ইজরায়েল যুদ্ধের শিকার দু’দেশেরই লক্ষ-লক্ষ সাধারণ নিরীহ মানুষ৷ চারিদিকে শুধু বারুদের পোড়া গন্ধ৷ তারসঙ্গে চলছে স্বজনহারা কান্না৷ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহগুলি থেকে নিজেদের প্রিয়জনকে খোঁজার চেষ্টা করছে বেশ কিছু মানুষ৷ এরথেকে ভয়ঙ্কর অবস্থা শুরু হয়েছে তাদের জন্য যারা আপাতত জীবীত৷ গাজায় শুরু হয়েছে খাদ্যের জন্য হাহাকার৷ হামাস নিধনে ইজরায়েলের অভিযানে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে গোটা গাজা ভূখণ্ড৷ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে প্রায় ৫৭ শতাংশ কৃষিজমি৷ যার জেরে তীব্র হয়েছে খাদ্য সংকট৷ সম্প্রতি এমনই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা৷
এদিকে, ইজরায়েলের অভিযানের ফলে গাজায় তীব্র হয়েছে ওষুধের সংকটও৷ যা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো৷ গাজায় জারি রয়েছে মৃতু্যমিছিল৷ মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ৩৮ হাজার৷ হাসপাতালগুলো উপচে পড়ছে মৃতদেহে৷ আহতের সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ ফলে সবকিছু সামাল দিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে৷ এর মাঝেই এপ্রিল মাস থেকে দেখা দিয়েছে ওষুধের আকাল৷
গাজার শহর থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহরতলীয়৷ যেখানে মানুষজন কৃষিকাজ করেই দিন গুজরান করেন৷ এমনই দক্ষিণ গাজার শহর আল মাওয়াসি৷ সেখানে মূলত কৃষিকাজ করেই দিন কাটান বহু মানুষ৷ কিন্ত্ত গাজায় রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হওয়ার পর বদলে গিয়েছে সব কিছু৷ একদিন নিজের খেতেই কাজ করছিলেন নেদাল আবু জাঝার৷ হঠাৎই সেখানে চলে আসে ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক৷ শুরু হয় হামলা৷ মুহূর্তের মধ্যে ধূলিসাৎ হয়ে যায় গোটা জমি৷ কোনওরকমে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচান নেদাল৷ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ক্লান্ত গলায় নেদাল জানান, ‘এই হল ধ্বংসের নমুনা৷ আমরা সাধারণ কৃষক৷ হঠাৎ একদিন ট্যাঙ্ক এসে গোলাবর্ষণ শুরু করল৷ ইজরায়েল কিন্ত্ত এই এলাকাটিকে হিউম্যানিটারিয়ান জোন হিসাবে চিহ্নিত করেছিল৷’ নাদেল একা নন৷ এই পরিস্থিতির শিকার গাজার বহু কৃষক৷
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়৷ সেই থেকে জুন মাস পর্যন্ত গাজা জুডে় প্রায় ৫৭ শতাংশ কৃষিজমি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷ গত মাসের শেষে এই তথ্য জানায় রাষ্ট্রসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশএ৷ এনিয়ে এফএও-এর ম্যাটিউ হেনরি জানিয়েছেন, প্যালেস্তিনীয়দের ভূখণ্ডের ৩০ শতাংশ অন্নসংস্থান হয় কৃষিক্ষেত্র থেকে৷ সেগুলোই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷
বলে রাখা ভালো, ২০২২ সালেও গাজা প্রায় ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকার কৃষিপণ্য রফতানি করেছে ইজরায়েল৷ তার মধ্যে স্ট্রবেরি ও ট্যোমাটো অন্যতম৷ গত বছরের অক্টোবরে সংঘর্ষ শুরু হতেই সেই রফতানির পরিমাণ কমে শূন্য হয়ে গিয়েছে৷ এখন কৃষিজমিতেও চলছে ‘অগ্নিবর্ষণ’৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে, গাজায় যে খাদ্যের হাহাকার চলছে তার পিছনে এই ধ্বংসলীলা প্রবল ভাবে দায়ী৷