সামরিক অভ্যুত্থান মানতে না পেরে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিল মায়ানমারের ১৯ পুলিশকর্মী। মিজোরামের চাম্পাই ও সারচিপ জেলার সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের পর তারা ভারতের আশ্রয় চেয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এক পুলিশকর্তা ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
আশ্রয়প্রার্থী পুলিশদের সকলেই বার্মিজ পুলিশের নিম্নপদস্থ কর্মী বলে জানা গিয়েছে। ভারতে প্রবেশের সময় তারা সকলেই নিরস্ত্র ছিলেন। তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
মায়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটি থেকে আরও অনেকে বেরিয়ে এসে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গােয়েন্দা তথ্যেও এর ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে মায়ানমার সেনা ও পুলিশ সদস্যরা চিনা আপ টিকটক ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের দেখা মাত্র গুলি করা নির্দেশ দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার জুন্টাবিরােধী অন্তত ৩৮ জন বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও জীবনের পরােয়া না করে বৃহস্পতিবার ফের রাজপথে নেমেছে জনতা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভুত্থানের প্র থেকে মায়ানমারে ব্যাপক গণবিক্ষোভ এবং নাগরিক অসহযােগ আন্দোলন চলছে। বিক্ষোভকারীরা সেনা শাসনের অবসান এবং দেশটির নির্বাচিত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম ইয়াঙ্গনের শহর পাথেইনে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত সেখানে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে বুধবার পুলিশ ও সেনাসদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে তাজা গুলিবর্ষণ করে।
কোনও সতর্ক সঙ্কেত ছাড়াই বিভিন্ন নগর ও শহরে গুলিবর্ষণ করা হয়। সুচি সমর্থকরা বলেছেন তারা সামরিক শাসনের অধীনে থাকতে চান না। সুচির মুক্তির জন্য তারা আবেদন চালিয়ে যাবেন।