পঞ্জশিরে তালিবানের উপর পাল্টা হামলায় নিকেশ ৮ জঙ্গি

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র (File Photo: iStock)

পঞ্জশিকে বাগে আনা কিছুতেই তালিবানের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। গােটা আফগানিস্তানকে তারা কজায় আনলেও, পঞ্জশিরে এসে তালিবানের বিজয়রথ মুখ থুবড়ে পড়ছে। কাবুল দখল পনেরােদিন পেরিয়ে গেলেও পঞ্জশিরে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তালিবানদের নর্দান অ্যালায়েন্স যেন আটকে দিচ্ছে তালিবানদের।

এটাই এখন আন্তর্জাতিক মহলে স্বচেয়ে বড় আলােচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তালিবানের সঙ্গে মিলিশিয়া যােদ্ধাদের লড়াইয়ে কমপক্ষে আট তালিবান জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। সােমবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। একমাত্র পশ্রি প্রদেশই তালিবানদের কাছে মাথা নােয়ায়নি। এই প্রদেশটিকেও সম্পূর্ণভাবে তালিবানরা কজা করতে পারেনি।

কিন্তু পশিরই একমাত্র প্রদেশ যেখানে তালিবানদের কোনও প্রভাব নেই। পঞ্জশিরের প্রধান তালিবান বিরােধী নেতা আহমেদ মাসৌদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সােমবার রাতে পঞ্জশিরের নিজস্ব বাহিনীর সঙ্গে তালিবানের গুলির লড়াই হয়।


এই ঘটনায় তালিবানি জঙ্গি আটজন মারা গিয়েছে। যদিও এই নিয়ে তালিবানের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। পঞ্জশিরে তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়তে নয়হাজার সেনার এক বিশাল বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিরুল্লাহ সালেহ তিনি পঞ্জশিরে আশ্রয় নিয়েছেন

তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছেন। যদিও তালিবানের তরফে পঞ্জশিরের তালিবান বিরােধী নেতা আহমেদ মাসৌদকে আত্মসমপর্ণের কথা বলা হয়। চার ঘন্টার মধ্যে তাকে আত্মসমপর্ণের জন্য বলা হয়েছিল তালিবানের তরফে।

পাল্টা জবাবে মাসৌদও জানিয়েছেন, যুদ্ধ হােক আমরা চাই না। তবে তালিবানরা হামলা চালালে আমরা তার পাল্টা জবাব দেব, আমরাও চুপ করে বসে থাকব না। পঞ্জশিরে কখনাে দাপট দেখাতে পারেনি তালিবানরা। ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত তালিবানের হাতে ছিল আফগানিস্তান কিন্তু কখনাে এখানে ঢুকতে পারেনি তালিবানরা।

এরপর ১৯৯৬ সালে পশির নিজস্ব বাহিনী তৈরি করে। যার নাম দেয় নর্দান অ্যালায়েন্স। তালিবানকে রুখতে এই বাহিনীকে সাহায্য করে ইরান, তাজাকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং ভারত। এ অঞ্চলের সঙ্গে অন্য কোনও দেশের সীমান্ত নেই। পঞ্জরি আসলে দুর্গের মতন। এর আগে সােভিয়েত বাহিনীও আঁচড় কাটতে পারেনি এই এলাকায়।