কাশ্মীর ইস্যুতে দিল্লির অস্বস্তি বাড়ালাে নিউ ইয়র্ক প্রশাসন, প্রতিবাদ ভারতের 

জো বিডেন (Photo: AFP)

ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ফের নাক গলাল বহির্বিশ্ব। ৫ ফেব্রুয়ারি ‘কাশ্মীর আমেরিকান ডে’ হিসাবে পালনের প্রস্তাব পাস করল নিউ ইয়র্কের প্রাদেশিক আইনসভা।

নাদের সায়েঘ নামে এক সদস্য এবং অন্য ১২ জনের সমর্থনে নিউ ইয়র্ক অ্যাসেম্বলিতে ৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘কাশ্মীর আমেরিকান ডে’ হিসাবে পালন করার প্রস্তাব পেশ করেন। ভােটাভুটিতে যা পাস হয়ে যায়।

এরপরই তা স্থানীয় গভর্নর অ্যাকুয়ােমাের কাছে পাঠানাে হয়। প্রস্তাব পেশ করার সময় বলা হয়, বিভিন্ন প্রতিকূলতা কাটিয়ে কাশ্মীরি সম্প্রদায়ের মানুষের ইচ্ছাশক্তির ফলে নিজেদের নিউ ইয়র্কের উন্নত ও গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসী সম্প্রদায় হিসাবে তুলে ধরেছে। একে সম্মান জানাতেই ‘কাশ্মীর আমেরিকান ডে’ পালন করা উচিত।


স্বভাবতই বিষয়টিকে ভালভাবে নেয়নি ভারত। ওয়াশিংটনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে ইতিমধ্যেই এর প্রতিবাদে প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।

দূতাবাস মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারতের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য দুনিয়ার কাছে জলজ্যান্ত এক উদাহরণ। জম্মু-কাশ্মীরও যার অবিচ্ছেদ্য ও অপরিহার্য অঙ্গ। এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় ঐতিহ্যে আঘাত হানবে। মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করবে। আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানিয়েছি।

নিউ ইয়র্ক অ্যাসেম্বলির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান। তারা আগেই ৪ ফেব্রুয়ারি ‘কাশ্মীর দিবস’ পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয় পাক কনসুলেট জেনারেল টুইট করে এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানান সায়েঘ এবং দ্য আমেরিকান পাকিস্তানি অ্যাডভােকেসি গ্রুপকে।

এর মাঝেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের মুখপাত্র জেড তারার একটি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট চান কাশ্মীর সমস্যার দ্রুত সমাধান হােক। মানবাধিকার নিশ্চিত করা আমেরিকার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বিডেন চান গােটা দুনিয়াতেই তা অটুট থাক।

এই প্রসঙ্গে তিনি টেনে আনেন কাশ্মীরের ৪জি কানেকশন-সহ অন্যান্য মানবাধিকারের প্রসঙ্গ। যেখানে যার যা সমস্যা আছে, সবাই মিলে একসঙ্গে মেটানাের বার্তাও নাকি দিয়েছেন বিডেন। ইতিমধ্যেই কাশ্মীরে চালু হয়ে গিয়েছে ৪জি নেটওয়ার্ক। তার সঙ্গে কি বাইডেনের উদ্বেগের কোনও সুত্র আছে, উঠছে এই প্রশ্নও।